Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

গাড়ির চাকায় চুম্বকের সাহায্যে জালনোট পাচারের চেষ্টা, ধৃত ৩

গাড়ির চাকায় চুম্বক লাগিয়ে তার সঙ্গে জালনোট পাচারের এই অভিনব পদ্ধতি দেখে পুলিশও হতভম্ব। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জালনোটগুলি কালিয়াচক থেকে রায়গঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

কায়দা: এই চুম্বকে আটকেই চলছিল পাচারের চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

কায়দা: এই চুম্বকে আটকেই চলছিল পাচারের চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫৫
Share: Save:

অ্যাম্বাসেডরের পিছনের চাকার রিমের সঙ্গে লাগানো ছিল চুম্বক। তারই সঙ্গে বাঁধা প্লাস্টিকের মোড়কে জালনোটের তিনটি বান্ডিল। এ ভাবেই জাতীয় সড়ক ধরে দিব্যি চলছিল সেই গাড়ি। মালদহের কালিয়াচক থেকে অ্যাম্বাসেডরটি ওই ভাবে ইংরেজবাজার থানার সুস্থানি মোড় পর্যন্ত এসেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। দেড় লক্ষ টাকার ওই জালনোট-সহ গ্রেফতার হল তিন জন।

গাড়ির চাকায় চুম্বক লাগিয়ে তার সঙ্গে জালনোট পাচারের এই অভিনব পদ্ধতি দেখে পুলিশও হতভম্ব। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জালনোটগুলি কালিয়াচক থেকে রায়গঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নুর ইসলাম, রুবেল শেখ ও কাবিল খান। ধৃত তিনজনেরই বাড়ি কালিয়াচক থানার আলিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামে। এর মধ্যে কাবিল অ্যাম্বাসেডরটির চালক। রবিবার মালদহ জেলা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার ফের তাদের আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ইংরেজবাজার থানা সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর মেলে, এ দিন জালনোট নিয়ে একটি অ্যাম্বাসেডরে কয়েকজন কালিয়াচক থেকে মালদহের দিকে আসবে। জেলা পুলিশের ডিএসপি বিপুল মজুমদারের নেতৃত্বে ইংরেজবাজার থানার একটি পুলিশের দল নজরদারি শুরু করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সুস্থানি মোড়ে। পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল ৯টা নাগাদ দেখা যায়, ছাই রঙা একটি অ্যাম্বাসেডর কালিয়াচকের দিক থেকে আসছে। পুলিশকর্মীরা সেটি থামিয়ে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশি করেন। তিনজনের কাছে কিছু না মেলায় শেষপর্যন্ত ওই অ্যাম্বাস্যাডারে তল্লাশি চালানো হয়। এক পুলিশকর্মী গাড়ির নীচের অংশে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তিনটি চুম্বক দেখতে পান চাকায়। সেই রিম ও চাকার মাঝে প্লাস্টিকে রাখা ছিল পাঁচশো টাকার নোটের তিনটি বান্ডিল। পরে দেখা যায় সবগুলিই জালনোট।

ডিএসপি বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘দেড় লক্ষ টাকার জালনোট-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা ওই নোটগুলি কোথা থেকে পেয়েছিল, সেই নোট নিয়ে তারা কোথায় যাচ্ছিল, তা তাদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrest Smuggling Fake Currency
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE