বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ‘শাহদাত’ মডিউলের বিস্তারের জন্য এ রাজ্যের মূলত তিন জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা। এ রাজ্য থেকে ওই মডিউল বা শাখার তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পরে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নদিয়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানকে কেন্দ্র করেই নিজেদের সংগঠন বিস্তার করতে চাইছিল আনসার আল ইসলাম। তবে আরও কোনও জেলায় এই শাখার সদস্যেরা আছে কি না, এখন তার খোঁজ করছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
এ রাজ্যে ‘শাহদাত’ মডিউলের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। তারা হল, পশ্চিম বর্ধমানের হাবিবুল্লাহ, নদিয়ার হারেজ শেখ এবং পূর্ব বর্ধমানের আনোয়ার শেখ। তবে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে হাবিবুল্লাহর কাঁকসার বাড়ি থেকে এই মডিউলের কাজ শুরু হয়। মূলত অনলাইনেই জিহাদি মনোভাবাপন্ন যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা হয়। হাবিবুল্লাহের মাধ্যমেই সংগঠনে ঢোকে হারেজ ও আনোয়ার। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের পাঁচ সদস্য এ রাজ্যের সালাউদ্দিন নামে এক জনের নাম বলেছিল। সে-ই এ রাজ্য থেকে মূলত যোগাযোগ রাখত। এসটিএফের গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সালাউদ্দিন নামের আড়ালে আদতে হাবিবুল্লাহ-ই ওই নির্দেশ দিত।
এ দিকে, চেন্নাই থেকে পাকড়াও হওয়া আনোয়ারকে রাজ্যে এনে শনিবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করিয়েছিল এসটিএফ। বিচারক তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের কুলসোনা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার এ রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করত। মাস ছয়েক আগে সে চেন্নাই যায়। সেখানে একটি হোটেলের লন্ড্রিতে কাজ করত আনোয়ার। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর কুলসোনা গ্রামের কালাম শেখকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। সে সময় আনোয়ারও সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিল। তাকে অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)