Advertisement
E-Paper

অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তি পেলেন, আর কত হেনস্থা? প্রশ্ন তৃণমূলের

সোমবার সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের ছবি পোস্ট করে তাঁদের মুক্তির কথা জানান পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। ঘটনাটি নতুন করে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর অসমে বাড়তে থাকা হেনস্থার চিত্রকে সামনে এনে দিল বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৭
Three migrant workers from Murshidabad were arrested for speaking Bengali in Assam, released

অবশেষে মুক্তি পেলেন অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিক। —নিজস্ব চিত্র।

অসমের নগাঁও জেলায় ডিটেনশন ক্যাম্পে কয়েক দিন আটকে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার অপরাধেই তাঁদের আটক করেছিল বিজেপিশাসিত অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের ছবি পোস্ট করে তাঁদের মুক্তির কথা জানান পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। ঘটনাটি নতুন করে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর অসমে বাড়তে থাকা হেনস্থার চিত্রকে সামনে এনে দিল বলেই দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার সোমপাড়ার নূতনপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, সানাউর মল্লিক এবং বেলডাঙার জাহির শেখ জীবিকার সন্ধানে দীর্ঘদিন ধরে অসমে ফেরিওয়ালার কাজ করছিলেন। গত ২২ অগস্ট তাঁরা হাইবোরগাঁও এলাকায় ফেরি করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানকার কয়েকজন তাঁদের বাংলায় কথা বলতে শুনে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন শ্রমিককে আটক করে। অভিযোগ, তাঁদের আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড-সহ সমস্ত নথি দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ কিছুই গ্রাহ্য করেনি। সটান তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে। শ্রমিকদের আটক হওয়ার খবর গ্রামে পৌঁছোতেই পরিবারের সদস্যেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি জানানো হয় পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চকে। দ্রুত পদক্ষেপ করেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল। তিনি পশ্চিমবঙ্গের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিককে জানান এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের সক্রিয় হস্তক্ষেপে তিন শ্রমিককে মুক্তি দেয় অসম পুলিশ।

এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদ সামিরুল বলেন, “আর কত? বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষ কি কোনওদিন শেষ হবে না? কিসের এত হিংসা বাঙালিদের বিরুদ্ধে? বিজেপিশাসিত অসমের ডবল ইঞ্জিন সরকার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করছে। যেখানে সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট করেছে, বাংলায় কথা বললেই কাউকে বাংলাদেশি বলা যায় না, সেখানে অসম সরকার বাঙালিদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এমন সব ঘটনাকে ঘিরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয়েছে। মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার দুই দিন ধরে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার আলোচনায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Bengali Migrant Worker Migrant laborers Bengali Speaking Migrants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy