পারিবারিক জমিতে লাগানো গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে খুন হতে হয়েছে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানার আকন্দকেশরী এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত রায়কে। শনিবার বেলার ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন সুশান্তের স্ত্রী সুশীলা রায়। এই অভিযোগ পেয়ে রাতেই সুশান্তের দাদা প্রশান্ত রায়, বৌদি মিতালি রায় এবং ভাইপো সৃঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
সামান্য আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দাদা এবং তাঁর পরিবারের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। যদিও স্থানীয় সূত্রের খবর, দুই ভাইয়ের পরিবারে সম্পত্তিগত বিবাদ বহু দিনের। শনিবারের ঘটনার অভিযোগ পেয়ে প্রথমে সুশান্তের বৌদি এবং ভাইপো, পরে দাদা প্রশান্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। এর পরে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয় এবং তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, সুশান্ত ও তাঁর স্ত্রী সুশীলাকে মারধর করে ধৃত তিন জন। মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুশান্ত। গোলমাল শুনে পড়শি ও আত্মীয়েরা ছুটে যান। অচৈতন্য অবস্থায় সুশান্ত এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই সুশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তবে তাঁর স্ত্রী সুশীলাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সুশীলা শনিবারই সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বাগান থেকে আম পাড়ার সময়ে পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছিল তাঁর স্বামীকে। তাঁর আরও অভিযোগ, দুই পরিবারে সম্পত্তিগত গোলমাল ছিল। অভিযুক্ত প্রশান্ত সম্পত্তি দখলে রাখতে চেয়ে মারধর করত। কথায় কথায় প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও সুরাহা হয়নি। তবে গোটা ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সুশীলা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথার পিছনে ভারী জিনিসের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। পুলিশ জানিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। তবে ঘটনাটি পরিকল্পনামাফিক, না কি উত্তেজনার বশে হয়েছে, সে সব তদন্তে দেখা হচ্ছে। সেই বিষয়ে তথ্য পেতে অভিযুক্তদের জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের টুকরো সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)