বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার পরে শুরু হয় নাগাড়ে তল্লাশি। কিছু দিন তল্লাশি চলে, হয় ধরপাকড়ও। ততক্ষণে অবশ্য সতর্ক হয়ে গোপন ডেরায় সরানো হয়ে যায় মজুত থাকা নিষিদ্ধ শব্দবাজি।
কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পরে অবৈধ ভাবে বাজি মজুত করার অভিযোগে সেখানকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম বিদ্যুৎ হালদার। সংলগ্ন কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুর এলাকাতেও মজুত থাকা বেআইনি বাজির সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। আর তাতেই শনিবার রাতে হালিশহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারপাড়ায় দেবু খান নামে এক বাজি ব্যবসায়ীর
বাড়ির পিছনের ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় সাড়ে তিন কুইন্টাল নিষিদ্ধ শব্দবাজি। তবে, ওই বাজি ব্যবসায়ীর হদিস মেলেনি।
কল্যাণীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত দুই মহিলার বাড়িও হালিশহরে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবারই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। রাতে কাছাকাছি বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে কল্যাণীর ঘটনার পরে পুলিশি তল্লাশি হতে পারে, সে কথা আন্দাজ করে অধিকাংশ জায়গা থেকেই বাজি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল যে, রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দীপাবলি এবং অন্যান্য উৎসবের দিনে শুধুমাত্র সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে, যেগুলিতে আলো, শব্দ এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান কম থাকে। তবে নিষিদ্ধ বাজি তৈরি, মজুত ও বিক্রিও যে চলছেই, কল্যাণীর বিস্ফোরণের ঘটনাই তার প্রমাণ বলে
মনে করছেন অনেকে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উপ-নগরপাল (উত্তর) তথা গোয়েন্দা প্রধান গণেশ বিশ্বাস বলেন, “কল্যাণী সংলগ্ন এলাকায় আরও নিষিদ্ধ বাজি মজুত থাকতে পারে। তল্লাশি চলছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)