সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখ ভার। রোদ তেমন ওঠেনি। বরং মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। তবে তাতেও স্বস্তি নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কমবেশি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ১১টি জেলায়।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তবে মূলত উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জেলাগুলি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া। এ ছাড়া কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সপ্তাহান্তেও ঝড়বৃষ্টি চলবে। শনিবার দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, নদিয়া ও বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলবে রবিবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
উত্তরবঙ্গেও শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। ওই জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। শনি ও রবিবার আলাদা করে কোনও সতর্কতা জারি হয়নি। তবে সপ্তাহান্তে উত্তরের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও দু’-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হবে। সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। আগামী সাত দিন এমনই ঝড়বৃষ্টি চলবে।
শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। দিনে দু’-এক পশলা বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি কম।