Advertisement
E-Paper

ধূপগুড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

আবার ধূপগুড়ি। আবারও পটভূমিকায় গ্রাম্য বিবাদ। এ বারও কাঠগড়ায় সেই শাসক দল। বছর দেড়েক আগে ধূপগুড়িতে এক কিশোরীর বাবাকে সালিশি সভায় ডেকে অপমান করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:০২

আবার ধূপগুড়ি। আবারও পটভূমিকায় গ্রাম্য বিবাদ। এ বারও কাঠগড়ায় সেই শাসক দল।

বছর দেড়েক আগে ধূপগুড়িতে এক কিশোরীর বাবাকে সালিশি সভায় ডেকে অপমান করা হয়। ওই কিশোরী তার প্রতিবাদ করায় তাকেও অপমানের শিকার হতে হয়। পরের দিন রেললাইনের ধারে মিলেছিল কিশোরীর বিবস্ত্র প্রাণহীন দেহ।

বুধবার সেই ধূপগুড়িতেই এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। দাদার বাধায় কোনও মতে মান ও প্রাণ বেঁচেছে সেই তরুণীর। ওই যুবকের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁদের উপরে চড়াও হয়েছিল। অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ধূপগুড়ি থানার অধীন ওই গ্রামে কয়েক দিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সিপিএম সমর্থক ওই পরিবারটিকে। এ দিন সকালে পরিবারের অন্য সদস্যরা চাষের কাজে বাইরে যান। বাড়িতে ছিলেন ওই তরুণী ও তাঁর দাদা। এ সময় দুই হামলাকারি রান্নাঘরে ঢুকে ওই তরুণীকে প্রথমে মারধর করে। এরপর তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। তরুণীর চিৎকার শুনে রান্নাঘরে ছুটে যান তাঁর দাদা। কিন্তু বাধা দিতে গেলে বাড়ির বাইরে জড়ো হয়ে থাকা অন্য অভিযুক্তরাও ঘরে ঢুকে তাঁর উপরে চড়াও হয়। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে তাঁকে। পেটে, কোমরে এবং কাঁধে আঘাত লাগায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। দাদা ও বোনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা চলে আসতে পারে আশঙ্কায় এরপরেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পড়়শিরাই পড়ে জখম দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ধূপগুড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি রান্না করছিলাম। পেছন থেকে হঠাৎ একজন এসে আমার মুখ চেপে ধরে টানতে শুরু করে। আমাকে মারধর করে মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয়, তারপর পোশাক টেনে ছেঁড়ারও চেষ্টা করা হয়।’’

গত কয়েক দিন ধরেই জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ওই পরিবারটিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ধূপগুড়ি থানার আইসি সঞ্জয় দত্তও বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় বিবাদ চলছিল বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। গ্রামে বাহিনীও পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

সিপিএমের জোনাল কমিটির নেতা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকেই তৃণমূল সমর্থকরা এলাকায় মারধর শুরু করেছিল। এখন ধর্ষণের চেষ্টার মতো পাশবিক আচরণও শুরু করেছে।’’ যদিও, তৃণমূলের জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক গুড্ডু সিংহ বলেন, ‘‘সিপিএমের সংগঠনে ধস নেমেছে। তাই পরিবারিক বিবাদকেও রাজনীতি বলে চালিয়ে পালে হাওয়া টানার চেষ্টা করছে।’’
অভিযুক্তদের পরিবারের এক মহিলা আবার ওই তরুণীর দাদা সহ আরও ৯ জনের বিরুদ্ধেই মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ এনেছেন এ দিন রাতে।

Rape TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy