ফের বিজেপির মহিলা বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা মারার অভিযোগে নাম জড়াল তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজারের চন্দন পার্ক এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়েন স্থানীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে যুব তৃণমূলের অমৃতি অঞ্চল চেয়ারম্যান অনিকেত রায়ের গাড়ি। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন শ্রীরূপা। অভিযোগ উড়িয়ে অনিকেতের দাবি, বিধায়কের গাড়িই তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ মানিকচকের দলীয় কর্মসূচি থেকে চার নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ইংরেজবাজার শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন বিধায়ক। চন্দন পার্ক এলাকায় মানিকচকগামী একটি কালো ‘এসইউভি’-র সঙ্গে বিধায়কের গাড়ির ধাক্কা লাগে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বিধায়কের গাড়ির ডান দিকের ‘লুকিং গ্লাস’ এবং জানলার কাচও ভেঙে যায়। গত ২৭ অক্টোবর মানিকচকের রাস্তায় মিল্কিতে শ্রীরূপার গাড়িতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের আত্মীয় মোটরবাইক নিয়ে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে অভিযোগের ভিত্তিতে মোটরবাইক চালক নাবালককে গ্রেফতার করা হয়। পরে সে আদালত থেকে জামিন পায়।
শ্রীরূপা এ দিন বলেন, ‘‘বার বার করে আমার গাড়িতে ধাক্কা মারার কারণ বুঝতে পারছি না। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” অনিকেত পাল্টা বলেন, ‘‘বিধায়কের গাড়িই দ্রুত গতিতে আমার গাড়িতে ধাক্কা মারে। এখন উল্টে আমার নামেই অভিযোগ করা হয়েছে।” যদিও তাঁর গাড়ি পাঁচ থেকে দশ কিলোমিটার গতিতে ছিল বলে দাবি বিধায়কের।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওখানে চক্রান্ত চলছে। উনি (শ্রীরূপা) ভাল কাজ করছেন। যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’ উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘পুলিশের উচিত, গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।’’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, মালদহের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবনমন ঘটেছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর মন্তব্য, “দুঃখজনক ঘটনা। তবে ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)