Advertisement
০৪ মে ২০২৪

অনেকেই পাননি, তবু ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ফোন

ফোন আসার বৃত্তান্ত জানিয়ে টুইট বার্তাটি আরও বলছে, ‘বর্তমানে ২৫০ জনের বেশি ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া সামলানোর জন্য ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

শহর জুড়ে: মা উড়ালপুলের আশপাশে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

শহর জুড়ে: মা উড়ালপুলের আশপাশে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫৫
Share: Save:

অনেকেই পারেননি যোগাযোগ করতে। তবে ‘দিদিকে বলো’ শীর্ষক টুইটার হ্যান্ডলে দাবি করা হয়েছে, কর্মসূচি চালু হওয়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষেরও বেশি ফোন এসেছে দিদির দরবারে। সূত্রের খবর, ওয়েবসাইটেও অন্তত ৬০ হাজার জনের সাড়া মিলেছে।

ফোন আসার বৃত্তান্ত জানিয়ে টুইট বার্তাটি আরও বলছে, ‘বর্তমানে ২৫০ জনের বেশি ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া সামলানোর জন্য ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। ধৈর্য্য ধরার জন্য ধন্যবাদ।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন ‘টুইট’ করে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে অনুরোধ করেছেন। তবে অনেকেই ফোন করে কথা বলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। অনেকেই একসঙ্গে ফোনে চেষ্টা করায় ‘দিদিকে বলো’-র নম্বরটি মঙ্গলবার দুপুর থেকে একপ্রকার বসে যায় বলেও দাবি।

জনসংযোগের নেপথ্য-মঞ্চ সল্টলেকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত একটি অফিস। সেখানে তরুণ পেশাদার-বাহিনীর কেউ ফোন ধরছেন, কেউ ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য গোছগাছে ব্যস্ত। নেপথ্যে উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরের টিম। এত তথ্য ঠিক কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে অবশ্য নানা মহলে প্রশ্ন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে কিছু জানানোর সময়ে ব্যক্তিবিশেষকে জানাতে হচ্ছে, তিনি কোথায় থাকেন, কোন ওয়ার্ড বা পঞ্চায়েত এলাকা, বয়স, পেশা ইত্যাদি ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি, এমনকি ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে রাজ্যের বিরোধী-মহলে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর আশঙ্কা, ‘‘রাজ্যের যা অবস্থা, তাতে নাম-ধাম জানিয়ে কেউ অভিযোগ করলে তাঁর পিছনে পুলিশও লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। নজরদারি করতেই এই ব্যবস্থা।’’ যা শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যত্তসব আজগুবি কথা। ওরা যাযাবর। বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে ধারণা নেই। কী বলছে, আর কী করছে নিজেরাই জানে না। ২০২১-এ হেরে ওরা তা প্রমাণ করবে।’’

তবে দিদিকে বলা মানেই সব তথ্য সটান তাঁর কাছে পৌঁছচ্ছে—বিষয়টা তেমন নয় বলেই সূত্রের খবর। শোনা যাচ্ছে, সংকলিত তথ্যভাণ্ডার তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের এক যুব নেতার কাছে পাঠানো হবে। এই তথ্যভাণ্ডার আদতে দু’বছর বাদে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটারদের চাহিদার পূর্ণাঙ্গ ছবিই তুলে ধরবে। কারণ, কোন বয়সের ভোটার, গ্রামে বা শহরে কোন এলাকায় কী চাইছেন— সব থাকবে সংকলিত তথ্যে।

‘দিদিকে বলো’ ঘিরে বিপুল সাড়া পাওয়ার কথা প্রচারের পরে অবশ্য সরকারপক্ষকে এ দিন সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। কেউ কেউ টুইট করে বলেন, ‘‘তা হলে বুঝতে পারছেন, আপনাদের সরকারের বিরুদ্ধে কী পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ জমা হয়েছে।’’ ‘দিদিকে বলো’ টিমের তরফে জবাব, বিপুল সংখ্যক লোক অভিমত-উপদেশও পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে আদতে সরকারের প্রতি শুভেচ্ছাই প্রতিফলিত হচ্ছে। টিম ‘দিদিকে বলো’ বলছে, প্রথম দিকের অত্যুৎসাহে ফোনে লাইন পেতে সময় লাগছে। দিন কয়েক বাদে পরিস্থিতি মসৃণ হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Helpline Didike Bolo TMC Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE