E-Paper

বাম আমলে ‘অনিয়মের শিকার’? ই-মেল খুলে সরাসরি জনতার কাছে জানতে চাইবে তৃণমূল

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এই পদক্ষেপ বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের তরফে তোলা অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণে। অভিযোগ মানুষের থেকে এলে, প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা বেশি হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ০৮:১৫
Representative image a tmc.

সিপিএম অবশ্য পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে এ নিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র দাবি করেছে। প্রতীকী ছবি।

বাম আমলে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ‘অনিয়ম’কে বড় মাত্রা দিতে এ বার সরাসরি জনতার দরবারে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত ‘তথ্য’ সংগ্রহের জন্য দলের তরফে একটি ই-মেল আইডি চালু হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযোগকারীরা চাইলে তাঁদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে। সিপিএম অবশ্য পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে এ নিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র দাবি করেছে।

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে সিপিএমকে বিঁধতে সমাজমাধ্যমে অভিনব আবেদন করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দলের আইটি সেলের তরফে তাঁর আবেদন, ‘‘সিপিএমের দখলদারির রাজত্বে যাঁরা যোগ্য হয়েও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন কমরেডদের বউ, শালা, ভাই, দাদা বা ভাগ্নেদের জন্য, বিশেষত ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত যাঁদের চাকরির পরীক্ষার নম্বরে কারসাজি হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন, তাঁরা নিজেদের নাম, জেলা, ফোন নম্বর ও পরীক্ষার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকলে মেল করুন।’’ সেই সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘অভিযোগের কাগজ বৈধ হলে আমাদের তরফ থেকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা শোনা হবে।’’

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ক্যামেরার সামনে শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছিলেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই ন্যূনতম পাঁচ-ছয় লক্ষ চাকরি প্রাপকের তথ্য-সহ শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে। তা হলে এখন কি তাঁরা সেই পথে যেতে ভয় পাচ্ছেন? তাই কি অন্য পথ বেছে নিচ্ছেন?’’ তাঁর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছি, কবে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হবে। চ্যালেঞ্জ করছি মাননীয়া, আপনি প্রয়োজনে সরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সেই তালিকা বার করুন। তা না-করে কে কী বললেন, কে কী লিখলেন তাতে কিছু যায় আসে না। রাজনৈতিক ভাবে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু প্রমাণ করতে হবে তো।’’

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এই পদক্ষেপ বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের তরফে তোলা অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণে। অভিযোগ মানুষের থেকে এলে, প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা বেশি হবে। তবে অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হলে সেই অভিযোগের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC CPM

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy