দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আসা বাস আটকে দেওয়ার ‘হুমকি’ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মোকাবিলার ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, ‘‘অপমান করতে এলে বিজেপি কর্মীদের পিষে মারা হবে।’’
শনিবার রাতে দিলীপবাবুর হুমকির পরেই তাঁর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্ররোচনার অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে এ বার দিলীপবাবুর চ্যালেঞ্জ, ‘‘এফআইআর যখন করেছে তখন তো আটকাতেই হবে। শুধু বাস নয়, সরকারটাকেই আটকে দেব।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন উত্তপ্ত আবহ এর আগে কখনও তৈরি হয়নি। এমনকি তৃণমূল যখন বিরোধী ছিল তখনও নয়।
শনিবার বাঁকুড়ার ওন্দায় বিজেপির সভায় দিলীপবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা কলকাতা যাওয়ার জন্য কাল রাস্তায় বেরোবেন। তাদের বাস আটকে আগে কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে হবে। আমাদের কর্মীরা সঙ্গে থাকবেন। নেতারা টাকা ফেরত না দিলে ব্যাটাদের গ্রাম ছাড়া করতে হবে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘কাল কলকাতায় সার্কাস হবে। এ বার কি এ-দিক থেকে কেউ যাবেন? গেট, ঝান্ডা কিছুই তো নেই! মনে হচ্ছে, তৃণমূলের শোকসভা হবে।’’
রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার আগেই বাসে চড়াও হওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শনিবারও তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। আমরা বলছি, বাস ছেড়ে দেখাক।’’
অন্য দিকে তৃণমূল নেতা ফিরহাদের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী কাল রাস্তায় থাকবেন। বাস আটকানোর চেষ্টা করলে বিজেপির লোকেদের পিষে মেরে দেবে। দিলীপবাবুরা সন্ত্রাস ছড়ালে জেলে যেতে হবে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘এ বার আমরাও বিজেপির ব্ল্যাক মানির হিসেব চাইব। তৃণমূল কর্মীরা কাটমানি নেন না।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিপিএমের হার্মাদরা এখন দলে দলে বিজেপিতে ঢুকেছে। যাদের রাজনীতি নেই, সঙ্গে মানুষ নেই, সন্ত্রাসই তাদের অস্ত্র। ভাটপাড়ার মানুষ এখন যেমন বুঝতে পারছেন, বিজেপি কী বস্তু!’’ পার্থবাবুর আরও মন্তব্য, ‘‘দিলীপবাবুর মতো জোকারের পক্ষেই এ ধরনের উস্কানি দেওয়া সম্ভব।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy