সালিশি সভার নিদান— ‘ওঠ-বস’ করতে হবে। তা নিয়ে আপত্তিতে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই বুথ সভাপতি ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। মালদহের কালিয়াচকের রাজনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার ওই হামলায় নিহত এক্রামুল শেখ (৪৫) ও তাঁর ভাই বাদশা শেখ (৩০) পেশায় চপ-মুড়ি বিক্রেতা ছিলেন। জখম হন নিহতদের বাবা-সহ চার আত্মীয়। সাত জন আটক হয়েছে। মালদহের এসপি প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “গ্রাম্য বিবাদ ঘিরে সালিশি সভায় ঘটনাটি ঘটেছে।”
তৃণমূলের বুথ সভাপতি সামসুল শেখের হামিদপুর চরের ভুট্টা খেতের জমিতে বুধবার এক্রামুলদের ট্রাক্টর ঢোকায় দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। তবে পুলিশ তাতে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি। পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ গ্রামে সালিশি সভা বসে। ‘মোড়লদের’ সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মুসরেফা বিবির স্বামী মুক্তার শেখ।
এক্রামুল, বাদশার বাবা জাহিরউদ্দিন শেখ বলেন, “জমিতে আমাদের মারধরের কথা সালিশিতে প্রমাণ হলে সামসুলদের শাস্তির নিদান দেওয়া হয়। নিদান পছন্দ না হওয়ায় সামসুলরা হাঁসুয়া নিয়ে আমাদের কোপাতে থাকে।” এক্রামুল মারা যান ঘটনাস্থলে। হাসপাতালে মারা যান বাদশা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি জাহিরুদ্দিন। মুক্তারের বক্তব্য, “শান্তিপূর্ণ ভাবেই সালিশি হয়েছিল। আচমকা ঝামেলা শুরু হয়।” হামলায় মূল অভিযুক্ত সামসুল পলাতক।
দক্ষিণ মালদহ বিজেপির সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “থানায় কোন ঘটনা যাবে, কোনটা সালিশিতে, তা পুলিশ এবং তৃণমূল নেতারা বসে ঠিক করেন।” রাজ্যের মন্ত্রী, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “এতে দলের ব্যাপার নেই। সালিশিতে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)