Advertisement
E-Paper

দিনহাটায় জোড়া খুনে নাম শাসকনেতার! শ্লীলতাহানির মামলা নিয়ে বিবাদেই হত্যা, দাবি নিহতের পরিবারের

রবিবার রাতে ভেটাগুড়ির বালাডাঙায় দুই নিহতের মধ্যে এক জনের পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জাকির মিঞা‌র খুনের ঘটনায় জড়িত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৯

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

কোচবিহারের দিনহাটায় জোড়া খুনে নাম জড়াল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার। রবিবার রাতে ভেটাগুড়ির বালাডাঙায় দুই নিহতের মধ্যে এক জনের পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জ়াকির মিঞা‌ খুনের ঘটনায় জড়িত। জ়াকির-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে।

জ়াকির অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই দু’জন নেশা করে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করেছিলেন। বচসার সময় একে অপরের উপর হামলার জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ সত্য নয়, তিনি নির্দোষ বলে দাবি করেছেন জ়াকির।

মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ দিনহাটা ১ ব্লকের ভেটাগুড়ি বালাডাঙায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ইউসুফ মিয়া (৫৮) এবং হাসানুর মিয়া (৩৫)-র দেহ। ইউসুফের বাড়ি আটিয়াবাড়ি প্রথম খণ্ড এলাকায়। আর হাসানুরের বাড়ি ভেটাগুড়ির বালাডাঙায়। পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, নিহতেরা দু’জনেই জেল খাটা আসামি। তাঁদের মধ্যে পুরনো শত্রুতা ছিল। তা নিয়ে বচসার সময় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের একাংশের অনুমান ছিল।

যদিও পুলিশের দাবি মানতে চাননি হাসানুরের পরিবার। হাসানুরের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জ়াকির খুনের ঘটনায় জড়িত। তাঁর নির্দেশেই রবিবার রাতে কয়েক জন হাসানুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরেই তাঁর স্বামীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর দাবি, ২০২৪ সালে ৩০ থানায় একটি শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছিল। সেই মামলা নিয়ে জ়াকিরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন হাসানুর। এর জন্য অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য তাঁকে একাধিক বার হুমকিও দিয়েছিলেন। পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসানুরের স্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, পুলিশ যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার না করে, তা হলে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবে।

এ দিকে, বুধবার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ১২ বছর আগে মাথাভাঙায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ইউসুফ এবং হাসানুর। সেই সময় দু’জনেরই জেল হেফাজত হয়েছিল। কিছু দিন পরে হাসানুর জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। জেলমুক্তির পর তিনি ইউসুফের স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে পালানোরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইউসুফের স্ত্রী তাতে রাজি হননি। পুলিশ জানতে পেরেছে, ইউসুফের স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তাঁকে সেই সময় হেনস্থা করেছিলেন হাসানুর। যা নিয়ে ইউসুফ এবং হাসানুরের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। এর পর অন্য একটি মামলা ফের তিনি গ্রেফতার হন। পাঁচ বছর জেল হেফাজতেও ছিলেন। মাস পাঁচেক আগে দু’জনেই ছাড়া পেয়েছেন। তার পরেই খুন হন দু’জন।

Cooch Behar Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy