সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন অভিষেক। ছবি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেই মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে ছেড়ে দেব, বলেছিল সিবিআই। এমনটাই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শহিদ মিনারের সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে সিবিআই ও ইডি প্রসঙ্গ আনেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
তিনি বলেন, ‘‘এই তো মদনদা জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষও জেলে ছিলেন। এঁদের বলা হয়েছিল, আমার নাম নিলেই ছেড়ে দেবে। আমার জন্য আলাদা আইন করার দরকার নেই। যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তা হলে যাই হোক না কেন, যে ইস্যুতেই হোক না কেন এই শহিদ মিনারেই ফাঁসির মঞ্চকে বরণ করে নেব।’’ সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন অভিষেক। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন তিনি।
নারদা মামলায় শুভেন্দুকে কেন এখনও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করেনি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অভিষেক। সঙ্গে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে বিজেপি নেতা দিলীপের বাড়ি থেকে জমির দলিল উদ্ধারের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আমরা চাই অন্যায় করে থাকলে শাস্তি হোক। কিন্তু বিজেপির ক্ষেত্রে এক আইন, আর অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথক আইন কেন?’’ এর পরেই অভিষেক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? বিজেপি করে তাই? আমি তো তৃণমূল করি, তাই আলাদা আইন? বিজেপি করলেই আইন আলাদা আর তৃণমূল করলে আইন আলাদা? এটা হতে পারে না। কাশ্মীর থেকে তামিলনাড়ু আইন সকলের জন্য একই হতে হবে।”
আগামী দিনে সিবিআই ও ইডি তৃণমূলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করলে ‘এক ডাকে অভিষেক’ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলেছেন অভিষেক। এমনটা হলে দলের নেতা-কর্মীদের হয়ে তিনিই এই লড়াইয়ে শামিল হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy