Advertisement
E-Paper

উপপ্রধানের স্বামীর হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রাখারই লাইসেন্স নরেশবাবুর নেই, তার উপরে এটি স্টেনগান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:১১
অস্ত্রধারী: তৃণমূল নেতা নরেশ দেবনাথের এই ছবি নিয়েই বিতর্ক। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

অস্ত্রধারী: তৃণমূল নেতা নরেশ দেবনাথের এই ছবি নিয়েই বিতর্ক। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

পঞ্চায়েতে উপপ্রধানের স্বামীর হাতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দেখে চমকে উঠেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহারের দিনহাটার আটিয়াবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই উপপ্রধান মধুমিতা দেবনাথের স্বামী নরেশবাবু নিজেও স্থানীয় স্তরে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। নিজের ফেসবুকেই ছবিটি দিয়েছিলেন, বিতর্ক শুরু হলে মুছে দেন। মধুমিতাদেবী এই প্রসঙ্গে কোনও কথাই বলতে চাননি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্রটি তাঁর স্বামীর নয়, অন্য কারও কাছ থেকে নিয়ে নরেশবাবু ছবি তুলেছিলেন। তবে সে ক্ষেত্রেও আগ্নেয়াস্ত্রটি কার, সে সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

দিনহাটার এসডিপিও উমেশ গণপত বলেন, “ওই ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই আমাদের হাতে এসেছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তিনি পলাতক। তল্লাশি চলছে।” তৃণমূলের নেতারাও ওই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আমরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করব। যারা অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়ায় তারা দলের সদস্য হতে পারে না।’’ দলের কোচবিহার জেলা যুব সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ও বলেন, “যাঁরা অস্ত্র হাতে ঘুরছেন তাঁরা দুষ্কৃতী। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রাখারই লাইসেন্স নরেশবাবুর নেই, তার উপরে এটি স্টেনগান। পুলিশের এক কর্তা জানান, এমন অস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে থাকারই কথা নয়। স্থানীয় ভাবে তৈরিও করা যায় না, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বড় কারখানাতেই কেবল এমন অস্ত্র বানানো সম্ভব। তবে অস্ত্রটি সামান্য পুরনো বলে পুলিশ সূত্রের ধারণা। পুলিশ জানিয়েছে, কোথা থেকে এমন আগ্নেয়াস্ত্র রাজ্যে তথা জেলায় আসছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: ৩৫৬ গাছ কাটা যাবে জানিয়েও স্থগিতাদেশ

Firearms TMC Leader Coochbihar Social Media
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy