Advertisement
E-Paper

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ইডির হাতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য, শনিবারই পেশ করা হবে আদালতে

শনিবার তৃণমূল নেতাকে আদালতে হাজির করানোর আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৫
Shankar Adhya

ইডির ঘেরাটোপে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

মধ্যরাতে গ্রেফতারির পর শনিবার সকালে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হল শঙ্কর আঢ্যকে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর ওরফে ডাকু মুখে মাস্ক, গায়ে জ্যাকেট এবং ট্রাউজার্স পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের ঘেরাটোপে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। অন্য দিকে, শঙ্করের মেয়ের অভিযোগ, তাঁর বাবাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

শুক্রবার সকাল থেকে ম্যারাথন জেরা করা হয় জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্করকে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে গাড়িতে তোলার সময় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। ইট-পাটকেল ছোড়া হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়িতে। যদিও রাতেই শঙ্করকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার তৃণমূল নেতাকে আদালতে হাজির করানোর আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান।

অন্য দিকে, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য জানান, তাঁর স্বামীকে গ্রেফতারের আগে ইডির এক অফিসার বলেছেন, ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি তাঁর নাম নিয়েছেন। তবে জ্যোৎস্নার দাবি, তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর ব্যাখ্যা, রাজনৈতিক কারণে জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে শঙ্করের যোগাযোগ ছিল। বাড়িতে যাতায়াতও ছিল। কিন্তু সেটা পুরোটাই রাজনৈতিক সম্পর্ক। তার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। জ্যোৎস্নার অভিযোগ, ইডি-র আধিকারিকেরা তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত কথাই বলেছেন। রাতে ইডির অফিসাররা কোনও একটি নথি দেখিয়ে জানান যে, রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল। শঙ্করের মেয়ে বলেন, “এটা অবশ্যই চক্রান্ত। রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। কোনও লেনদেন (বেআইনি আর্থিক লেনদেন) নেই বাবার সঙ্গে। আমার আবেদন, এর যেন সঠিক বিচার হয়।” কিন্তু ষড়যন্ত্র কার? তাঁর কথায়, “কে চক্রান্ত করেছে, বলতে পারছি না। তদন্ত যত এগোবে জবাব দিয়ে দেব।” শঙ্করের শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় আট লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে শঙ্করের মেয়ের দাবি, যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটা এক জন সাধারণ মানুষের বাড়িতে থাকতেই পারে।

ইডি সূত্রে খবর, শঙ্করের একাধিক সংস্থা রয়েছে। শঙ্কর এবং তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের অর্থলগ্নি সংস্থাও আছে। সেখানকার আর্থিক লেনদেনের খুঁটিনাটি জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।

Shankar Adhya ED arrest Jyotipriya Mallick TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy