Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৩
Dilip Ghosh

Dilip Ghosh vs TMC: দিলীপ ঘোষ অসভ্য, ‘নেতাদের পিছনে পেট্রল’ মন্তব্যের জবাবে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের

দিলীপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী তাপস রায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ অসভ্য এবং অর্বাচীন। দিলীপের মতো লোক যত বেশি বিজেপিতে থাকেন এবং এই ধরনের কথা বলেন আমরা ততই খুশি হই। কারণ, তাহলেই বাংলার মানুষ এঁদের প্রকৃত চরিত্র জানতে পারবেন।’’

আবারও বিতর্কে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

আবারও বিতর্কে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ১৯:২২
Share: Save:

দিলীপ ঘোষকে অসভ্য, অর্বাচীন বলল তৃণমূল। বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাঁকুড়া শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ বলেন, ‘‘পেট্রল তো কেউ খায়না। আলু সবাই খায়। আমরা ছোটবেলায় বদমায়েশি করে কুকুরের পিছনে পেট্রল দিয়ে দিতাম। এখন তৃণমূলের নেতাদের ধরে তাঁদের পিছনে একটু পেট্রল দিয়ে দিন। কেমন দৌড় দেবে দেখুন।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এর পরেই দিলীপের নিন্দা করেন। পরে শাসক শিবিরের রাজ্য নেতাদের পক্ষেও সমালোচনা করা হয়।

দিলীপের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী তাপস রায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ অসভ্য এবং অর্বাচীন। দিলীপের মতো লোক যত বেশি বিজেপিতে থাকেন এবং এই ধরনের কথা বলেন আমরা ততই খুশি হই। কারণ, তাহলেই বাংলার মানুষ এঁদের প্রকৃত চরিত্র জানতে পারবেন।’’ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে দিলীপ ‘নেতাদের পিছনে পেট্রল’ মন্তব্য করেই থামেননি। বলেন, এখানেই থামেননি দিলীপ। রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘তোমাদের কোনও যোগ্যতা নেই। আলু, ঢেঁড়স, ঝিঙের দাম কমাতে পারছ না। আর পেট্রল তো অনেক দূর।’’

দিলীপ ওই মন্তব্য করার পরেই সরব হন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। একের পর এক ভোটের ফলাফল সে কথাই বলে। এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা উচিত।’’ পরে তাপস বলেন, ‘‘অসভ্য, অর্বাচীন, বর্বর না হলে কেউ এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। বাংলা রাজনীতিতে এমন ভাষার ব্যবহার এর আগে কোনও দিনও ছিল না। তাই তো বাংলার মানুষ ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ওদের দলকে পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের রায় দিয়েছেন । ওই অর্বাচীন ব্যক্তির প্রসঙ্গে যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE