ধৃত: থানার ভিতরে হিম্মত সিংহ চৌহান। নিজস্ব চিত্র
বেআইনি জমির কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মতকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের প্রধাননগর থানার পুলিশ ওই নেতাকে গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতারিকে ঘিরে থানার সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখান ধৃত নেতার অনুগামীরা।
চম্পাসারি থেকে মিলনমোড়, গুলমা-সহ একাধিক এলাকায় বেআইনি জমির কারবারের রমরমা। সম্প্রতি চম্পাসারিতে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, হিম্মত সিংহের মদতেই সরকারি জমি দখল করে বাজার নির্মাণ হয়েছিল।একইসঙ্গে একাধিক বেসরকারি জমি দখলের ঘটনাতেও ওই নেতার নাম জড়ায় বলে অভিযোগ। তবে, তাঁকে ঠিক কোন জমির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, রাত পর্যন্ত পুলিশ তা জানায়নি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘আমরা এখনই বিস্তারিত কিছু বলছি না। সময়মতো সব জানানো হবে।’’
২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন হিম্মত। যদিও সিপিএম প্রার্থী মুকুল সেনগুপ্তের কাছে তিনি হেরে যান। হিম্মত কলকাতা এবং দার্জিলিং জেলার বেশ কিছু তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও সূত্রের খবর।
রাত ১০টা নাগাদ ধৃতকে প্রধাননগর থানা থেকে অন্য থানায় সরানোর জন্য প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। কারণ, হিম্মত গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে প্রধাননগর থানায় জড়ো হন তাঁর অনুগামীরা। তাঁরা হিম্মত সিংহের মুক্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, হিম্মত সিংহের নামে শ্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় বিক্ষোভের ছবি তুলতে গেলে সংবাদমাধ্যমের দুই প্রতিনিধির উপর বিক্ষোভকারীরা চড়াও হন এবং এক সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। সাংবাদিকদের মারধরের চেষ্টা করা হলে পুলিশ সংবাদমাধ্যমের দু’জনকে আলাদা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়।
এরই মধ্যে থানার বাইরে পরপর তিনটি জোর আওয়াজ শোনা যায়। অভিযোগ ওঠে, হিম্মতের অনুগামীরাই গুলি চালিয়েছে। যদিও পুলিশ গুলি চলার কথা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে।
রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা থানার বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেন। ইতিমধ্যে নানা থানা থেকে বাড়তি পুলিশবাহিনী প্রধাননগর থানায় পৌঁছে যায়। রাত ১২টা নাগাদ হিম্মত সিংহকে প্রধাননগর থানা থেকে বার করে এনজেপি থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তবে, তখনও প্রধাননগর থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন হিম্মত-অনুগামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy