—প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুর-বিষয়ক বৈঠকের আগে সামনে চলে এল তৃণমূল কংগ্রেসের পুর-বিবাদ। কলকাতা পুরসভার বিবদমান দুই পুর-প্রতিনিধিকে শনিবার ‘শো-কজ’ করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, তোলাবাজি নিয়ে দলের একাংশকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই কলকাতায় শাসক দলের পুর-প্রতিনিধিদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছে। দলের দুই পুর-প্রতিনিধির অনুগামীদের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়েছে কসবা। তার পরেই যাদবপুরে দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে মাথা ফেটেছিল ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি স্বরাজ মণ্ডলের। আহত স্বরাজের অভিযোগ ছিল ১০৪ নম্বরের পুর-প্রতিনিধি তারকেশ্বর চক্রবর্তীর দিকে। এই ঘটনার পর থেকেই বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে দুই পুর-প্রতিনিধি পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়ান। তাতে রাশ টানতে দু’জনকেই দলের তরফে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে দুই পুর-প্রতিনিধিকে আলাদা ভাবে সতর্কও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ দিনই তৃণমূল পুর-প্রতিনিধিদের বিবাদে উত্তপ্ত হয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার দু’টি জায়গা। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এরই পাশাপাশি তোলাবাজি বন্ধ করতে উত্তর কলকাতায় দলেরই এক পুর-প্রতিনিধির অনুগামীদের প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তোলাবাজি বন্ধ না হলে পুলিশি ব্যবস্থা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে একটি কর্মিসভায় কুণাল এ দিন বলেন, ‘‘এখানকার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডে প্রতিমা শিল্পীদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ আসছে। প্রতিমার উচ্চতা অনুযায়ী টাকা চাওয়া হচ্ছে! অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে।’’ এটা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট ভাবে দলের স্থানীয় পুর-প্রতিনিধিকে দায়িত্বও দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘তাঁরা সিধে না হলে আইনি ব্যবস্থা যা হওয়ার হবে! কারণ, এর ফলে রাগ করে কেউ অন্য জায়গায় ভোট দিয়ে এলে তা খারাপ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy