Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Didir Suraksha Kavach

দেগঙ্গায় মন্ত্রীর সামনে দলীয় কর্মীদের হাতাহাতি, ভুল বোঝাবুঝি, দাবি ‘দিদির দূত’ সুজিতের

দত্তপুকুরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এলাকায় থাকাকালীন চড়কাণ্ডের শোরগোল এখনও থিতু হয়নি। এ বার দেগঙ্গায় রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।

মন্ত্রী-বিধায়কেরা কোথায় খাবেন, তা নিয়ে তাঁদের সামনেই তৃণমূলকর্মীদের বচসা এবং হাতাহাতি দেগঙ্গায়।

মন্ত্রী-বিধায়কেরা কোথায় খাবেন, তা নিয়ে তাঁদের সামনেই তৃণমূলকর্মীদের বচসা এবং হাতাহাতি দেগঙ্গায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৩
Share: Save:

দত্তপুকুরের পর দেগঙ্গা। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে আবারও মারধর! এ বার দেগঙ্গায় রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। যদিও বৃহস্পতিবারের এই ঝামেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন ‘দিদির দূত’ সুজিত। তাঁর দাবি, ‘‘খাওয়ার জায়গা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে।’’ এর আগে গত সপ্তাহেই দত্তপুকুরে ‘দিদির দূত’ মন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে অভিযোগ জানাতে চেয়ে চড় খেতে হয়েছিল এক জনকে।

বৃহস্পতিবার সকালে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে উত্তর ২৪ পরগনায় দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরঘাটা এলাকায় পৌঁছন ‘দিদির দূত’ সুজিত। সঙ্গে ছিলেন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দলীয় কর্মী-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। সকালে চাকলার মন্দিরে পুজোও দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেননি। এলাকার একটি মসজিদেও যান তিনি। দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, দুপুরে এলাকার এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে দমকলমন্ত্রী এবং বিধায়কের খাওয়ার কথা ছিল। তবে মন্ত্রী-বিধায়কের জন্য তৃণমূলের আর এক কর্মীর বাড়িতেও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, তা নিয়েই ঝামেলা শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। মন্ত্রী-বিধায়কেরা কোথায় খাবেন, তা নিয়ে সুজিতদের সামনেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই গোষ্ঠীর লোকজন।

বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। মন্ত্রীর সামনেই ঝামেলা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার তা সামলে নেন মন্ত্রী। পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে সুজিতের দাবি, ‘‘হাতাহাতি হয়েছে, এ কথা ঠিক নয়। একটু ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। (তৃণমূলের) দু’টি গোষ্ঠীর ঝামেলা নয়। আমি মনে করি না, দলে কোনও গোষ্ঠী রয়েছে। আমার সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক, কথাবার্তাও হয়। দুপুরে খাওয়ার সিডিউল (সূচি) অফিস থেকে পাঠিয়েছে। ওঁরা বলছে, আমাদের সিডিউলে খাওয়ার কথা ছিল। আমাদের কাছে যে সূচি ছিল, তা-ই মানা হয়েছে।’’

দুপুরে খাওয়ার পর অন্য যে কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও যাবেন বলেছেন সুজিত। তাঁর কথায়, ‘‘খাওয়াটা বড় কথা নয়। সকলের সঙ্গেই দেখা করে নেব। দলের কর্মীর বাড়িতে খেলাম। এখানকার বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বললাম। কারও ক্ষোভ থাকলে, সেটাই তো শোনার জন্য এসেছি। সেটার সমাধান করার জন্যই এসেছি। খাওয়ার জায়গা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, শনিবার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের সাইবনা এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দা সাগর বিশ্বাসের গালে সপাটে চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সমর্থক শিবম রায়। ওই ঘটনার সময় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন। পরে জানা যায়, সাগর বিজেপির নীলগঞ্জ মণ্ডলের সভাপতি। ওই ঘটনায় শিবমের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভও হয়েছে। এমনকি, চড় খাওয়া সাগরের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যা ঘিরেও কম বিতর্ক হয়নি। সেই ঘটনার দিন কয়েকের ব্যবধানে আবার ঝামেলা ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE