কয়েক দিন আগে তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল মালদহে। তার রেশ কাটতে না-কাটতেই এ বার বিধায়কের গাড়িচালকের উপর হামলা! অভিযোগ, মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে। জখম অবস্থায় গাড়িচালককে মৌলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর বিএসএফ ক্যাম্পের ব্লকের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। সাবিত্রীর গাড়ির চালক অনুপ সাহা সপরিবার বিয়ে থেকে নেমন্তন্ন খেয়ে ফিরছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যেরা হাঁটতে হাঁটতে খানিক এগিয়ে গিয়েছিলেন। একটু পিছিয়ে পড়েছিলেন অনুপ। ব্লক গেটের সামনে তিনি দেখেন, তিন-চার জন মুখ বাঁধা অবস্থায় কিছু একটা করার চেষ্টা করছেন। তা দেখে নিজের মোবাইল ফোন বার করে ভিডিয়ো করতে গিয়েছিলেন অনুপ। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। এর পর ছুরি বার করে অনুপকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তারা। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ছুটে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তা দেখেই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালায়। এর পর পরিবারের লোকেরাই অনুপকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে অনুপের সঙ্গে দেখা করেছেন মালদহ থানার পুলিশ অফিসারেরা। অনুপ তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, অত রাতে তিন-চার জনকে ব্লক গেটের সামনে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেই তিনি ভিডিয়ো করতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।
গত মাসে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রীর উপর হামলার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছিল মালদহে। বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন, মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার ধরমপুরের কাছে রাজ্য সড়কের উপর উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়ি সাবিত্রীর গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই সময় গাড়িচালকের তৎপরতায় কোনও মতে রক্ষা পেয়েছিলেন বিধায়ক। ধাক্কা দেওয়ার নয় সন্দেহজনক গাড়িটি ফের ঘুরে এসে পিছন দিক থেকে তাঁর গাড়িকে ধাওয়া করেছিল বলেও দাবি করেছিলেন সাবিত্রী। শেষমেশ একটি জনবহুল এলাকায় নিজের গাড়িটি দাঁড় করিয়ে মানিকচক থানা এবং মিলকি পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিয়েছিলেন তিনি। ওই ঘটনার পর এ বার সাবিত্রীর গাড়িচালকের উপর হামলার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে পরিবার।