এসআইআরের খসড়া তালিকায় নাম না-থাকায় শুনানিকেন্দ্রে ডাক পড়েছিল বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের চার সদস্যের। নোটিস পাঠানো হয়েছিল তাঁর দুই পুত্রকে। সাংসদের নবতিপর মা এবং বোনকেও হাজিরা দিতে বলা হয়। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, সাংসদের বৃদ্ধা মাকে হাজিরার জন্য বাইরে বেরোতে হবে না। তিনি চাইলে তাঁর বাড়িতে গিয়েও শুনানি করা হবে। তবে পরিবারের বাকি তিন সদস্যকে নিয়ে আলাদা করে কোনও তথ্য বা বিবৃতি দেয়নি কমিশন। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, তাঁদের শুনানিকেন্দ্রে যেতেই হবে।
শনিবার তাঁর পরিবারের চার সদস্যের কাছে নোটিস যাওয়ার পরে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাকলি। তাঁর বক্তব্য, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে একই বুথের ভোটার। তাঁর দুই পুত্র প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তার পরেও কী ভাবে শুনানিতে বাড়ির চার জনের ডাক পড়ে?
আরও পড়ুন:
এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ২ বছরের কাজ ২ মাসে শেষ করতে গিয়ে চাপ বাড়ছে বিএলওদের উপর। অনেকে আত্মহত্যা করছেন। অসুস্থ হয়েও মৃত্যু হচ্ছে কারও। এমনকি, এসআইআরের কাজ আপাতত বন্ধ রাখারও আবেদন করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশের পর একের পর এক অসঙ্গতির অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কাকলির প্রশ্ন, তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরেও যদি পরিবারের সদস্যদের শুনানিতে ডাক পড়ে, তা হলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা সহজে অনুমেয়। তিনি ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা সংশয় প্রকাশ করেন।