একশো দিনের কাজ, আবাসের পাশাপাশি জল জীবন মিশনেও কেন্দ্রের ‘বঞ্চনার শিকার’ বাংলা। আজ সকালে জল জীবন মিশন যোজনায় বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার এই অভিযোগে ও বাংলার দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। দশ জন সাংসদের ওই দলে ছিলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, সৌগত রায়, শতাব্দী রায়, সাগরিকা ঘোষ প্রমুখ। সূত্রের খবর, টাকা পাওয়ার ব্যাপারে কোনও মন্ত্রীর কাছ থেকে পাকাপোক্ত আশ্বাস মেলেনি।
জল জীবন মিশনের অধীনে ‘কেন্দ্রের বঞ্চনা’ এবং ‘বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের’ বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপদ পানীয় জল মানুষের মৌলিক অধিকার। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাংলার ন্যায্য পাওনা ২৫২৫ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ২০২৪ সালের অগস্ট মাস থেকে এই প্রকল্পের অধীনে এক টাকাও বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পগুলি থমকে যাওয়ার মুখে এবং জনস্বাস্থ্য গভীর সঙ্কটে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। স্মারকলিপিতে এই অভিযোগগুলির কথা তুলে ধরেছে তারা।
তৃণমূলের বক্তব্য, জল জীবন মিশন প্রকল্পে ২০২৫-২৬ সালের জন্য কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ না করলেও বাংলার সরকার অতিরিক্ত ২৪০১ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করেছে, যাতে মানুষের জল পাওয়ার কাজ থেমে না থাকে। কেন্দ্রের অবহেলার কারণে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সচল রাখতে রাজ্যের নিজস্ব রাজকোষের ওপর বিপুল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্র সমস্ত প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। একশো দিনের কাজে আমাদের প্রাপ্য ৫০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এই প্রকল্পের নামে রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ‘মহাত্মা’ নামটিও নতুন বিলে উঠিয়ে দিয়েছে তারা।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)