E-Paper

ছাত্র সংগঠনে বড় রদবদল তৃণমূলের

দক্ষিণ কলকাতা ল’ কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতেই ছাত্র সংগঠনের দক্ষিণ কলকাতা জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশের মত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩২
রদবদল হত চলেছে ছাত্র পরিষদে।

রদবদল হত চলেছে ছাত্র পরিষদে। নিজস্ব চিত্র।

বিতর্কে জড়িয়ে পড়া দলের ছাত্র সংগঠনের দুই জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণ কলকাতা ও বীরভূমের সংগঠনে দুই নতুন মুখ-সহ বুধবার রাজ্য জুড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই রাজ্য কমিটিতেও নতুন কয়েক জন পদাধিকারীকে যুক্ত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতা ল’ কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতেই ছাত্র সংগঠনের দক্ষিণ কলকাতা জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশের মত। ওই ঘটনায় মূল অভিযোগ ছিল দলের ছাত্র সংগঠনেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই সময়েই জেলা কমিটির সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবির আলিকে। সার্থক অবশ্য জেলার যুব সংগঠনেরও সভাপতি। সেই পদে তিনি বহাল থাকছেন।

বীরভূম জেলার ছাত্র সগঠনের সভাপতিও বদল করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের একাংশের মতে, এ ক্ষেত্রেও জেলার প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে পুলিশের এক অফিসারকে কুৎসিত আক্রমণ করে বসেন জেলা ছাত্র সংগঠনের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ। তখনই দল তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। এই রদবদলে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে ঋতুপর্ণা সিংহকে।

অন্য দিকে, উত্তর কলকাতায় দলের বিজয়া সম্মিলনীতে ছাত্র ও যুব নেতা-কর্মীদের একাংশকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে ফের ক্ষমতায় আনবেন। অথচ একাংশ সেই ক্ষমতায় পুলিশকে ব্যবহার করবে, টাকা তুলবে! এটা চলতে পারে না। মনে রাখবেন, ক্ষমতায় আছি বলেই পুলিশ কথা শুনছে, লোকে চাঁদা দিচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMCP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy