প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলই পুরনির্বাচনে প্রস্তুতির আধার হিসেবে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ছয়টি কর্পোরেশন এবং ১১৭ টি পুরসভার ক্ষেত্রেও বিধানসভার ফলের ভিত্তিতে ভাইফোঁটার পর থেকেই দলের প্রার্থী বাছাই এবং সাংগঠনিক কাজ শুরু করতে চাইছে তৃণমূল। একই সঙ্গে এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে এ বার পুরভোটে বড় রদবদলের সম্ভাবনা দেখছে দলের একাংশ।
পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেই কলকাতা ও হাওড়ায় দলীয় প্রস্তুতিতে নেমে পড়ছে তৃণমূল। এই দুটি পুরসভার ভোটই আগে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। তাই ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ সেরে ফেলে ভোটের কাজে নেমে পড়তে চাইছেন শাসকদলের নেতার। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কলকাতায় খারাপ হলেও শেষ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল একচ্ছত্র আধিপত্য ফিরে পেয়েছে। কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১২ টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে উত্তর কলকাতার ৬০ টি ওয়ার্ডের আটটি এবং দক্ষিণ কলকাতায় মাত্র তিনটিতে পিছিয়ে তারা। একটিতে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হলে এই ১২টি ওয়ার্ডে নতুন মুখের সম্ভাবনা রয়েছে।
গোটা রাজ্যেই পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় এ বার নতুন মুখের সংখ্যা বেশি থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শীর্ষে আসায় পুর-রাজনীতিতে তরুণ প্রতিনিধি বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভাবমূর্তি ভাল নয়, এমন কিছু পুরনো কাউন্সিলর মনোনয়ন পাবেন না বলেও দলের একাংশের ধারণা। এ ব্যাপারে আইপ্যাকের তরফে প্রাথমিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে।
কলকাতার দুটি লোকসভা আসনে ‘এক ব্যক্তি এক পদ নীতি’র কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে দলের অন্দরে আগ্রহ রয়েছে। মেয়র বা পরে পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের কাজে দলীয় নেতৃত্ব সন্তুষ্ট। তাঁর পারফরম্যান্স যথেষ্টই ভাল। তবু দলের গৃহীত এই নীতির কারণে পুর প্রশাসনের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় থাকায় এই আলোচনায় নাম রয়েছে ফিরহাদের। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী বিবেচিত হতে পারেন তিনি। তা না হলে তাঁকে পুরসভা বা মন্ত্রিসভার যে কোনও একটি জায়গা ছাড়তে হবে। একই ভাবে পুরভার তাঁর সহকারী হিসেবে অতীন ঘোষ এখন বিধায়ক। এই জোড়া দায়িত্ব দলের নীতিগত অবস্থানের পরিপন্থী হলে কী হবে আলোচনা রয়েছে তা নিয়েও। দলের দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার এখন বিধায়কও। একই ভাবে এই চর্চায় নাম আছে তাঁরও। দলের এক শীর্ষ নেতার অবশ্য বলেন, "তারুণ্য নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি বা আসানসোলের মত বড় পুরসভার পরিচালনায় অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন।" এইরকম ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy