Advertisement
১৬ মে ২০২৪

‘এখানে শিল্প হচ্ছে’, হোর্ডিং লাগিয়ে প্রচারের নির্দেশ মমতার, শশীবাহিনীতে একলা পুরুষ সুপ্রিয় বাবুল

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিল্প করিডর বানানোর পরিকল্পনা করেছে নবান্ন। সেই সব জায়গায় আগে থেকেই প্রচার শুরুর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রচারের দায়িত্বে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।

মমতার কথা শুনে হেসে ফেলেন বাবুলও।

মমতার কথা শুনে হেসে ফেলেন বাবুলও। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৪
Share: Save:

রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে প্রচার শুরু করতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে যে জায়গা শিল্প করিডর বানানোর জন্য চিহ্নিত করেছে নবান্ন, সেখানে সেখানে হোর্ডিং লাগিয়ে ‘এখানে শিল্প হচ্ছে’ প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এই প্রচার কাজের জন্য তিনি শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজার নেতৃত্বে একটি দলও গড়ে দিয়েছেন। সেই দলে পাঁচ মহিলা। এক পুরুষ (অনেকে রসিকতা করে বলছেন, ‘এবং উত্তমকুমার’)। তিনি পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। প্রমীলাবাহিনীতে বাবুল যে একমাত্র পুরুষ, তা উল্লেখ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাই।

বুধবার নবান্ন সভাঘরে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ড’-এর বৈঠকের শুরুর দিকেই রাজ্যে কোথায় কোথায় সরকারি জমি শিল্পপতিরা চাইলে নিতে পারেন, তার তালিকা পড়ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কোথায় কোথায় জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশে শিল্প করিডর তৈরি হবে সেই তালিকাও পড়ে শোনান মুখ্যসচিব। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে তিনটি করিডরের ভাবনা রয়েছে। রঘুনাথপুর-ডানকুনি-হলদিয়া-তাজপুর, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-খড়্গপুর।

রাজ্য সরকারের নানা শিল্প ভাবনার কথা বলার সময়েই মমতা মুখ্যসচিবকে থামিয়ে বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে করিডরগুলি হচ্ছে, শিল্পের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেই জায়গায় এখন থেকে হোর্ডিং লাগানো শুরু করতে হবে।’’ এর পরেই তিনি বলে দেন হোর্ডিং লাগানোর তদারকি করবে একটি দল। সেই দলে কে কে থাকবে, তার নির্দেশ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শশী, তুমি মন্ত্রকের দায়িত্বে আছো। বন্দনাও (বন্দনা যাদব, শিল্প দফতরের প্রধান সচিব) খুব সক্রিয়। দু’জনে মিলে পরিকল্পনা করো। তথ্যসংস্কৃতি এবং পর্যটন দফতরের অনেক হোর্ডিং রয়েছে। জেলা প্রশাসনেরও অনেক হোর্ডিং রয়েছে। সেই হোর্ডিংগুলো লাগানোর চেষ্ট করো। লোকে জানবে ‘এখানে শিল্প হচ্ছে’।’’

সামনেই ঝড়বৃষ্টির সময়। সে কথা মনে করিয়ে হোর্ডিং কেমন হবে, তা-ও বলে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এমন ফ্লেক্স লাগাবে না, যা ঝড়ে উড়ে যেতে পারে। এখন তো ঝড় আসছে। এমন কিছু পদ্ধতি তৈরি করবে, যেটা ঝড়ে উড়ে চলে যাবে না। সরকারের টাকা নষ্ট হবে না।’’ শশীর দিকে তাকিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এটা কিন্তু বড় কাজ। শশী, তোমায় এটার উপর নজরদারি করতে হবে। তুমি, বাবুল এবং চন্দ্রিমাকে (অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য) সঙ্গে নেবে। অন্তরাকেও (অন্তরা আচার্য, কেএমডিএ-র সিইও) নেবে। আমি মহিলাদের দিয়ে এই কাজটা করাতে চাই। স্মার্কি (স্মার্কি মহাপাত্র, ভূমি ও ভূমি সংরক্ষণ দফতরের সচিব) থাকবে যেহেতু জমির ব্যাপারটা রয়েছে।’’

এর পরেই মমতা বলেন, ‘‘আমি নারী ক্ষমতায়নের দল তৈরি করে দিলাম! খালি বাবুল একলা পুরুষ।’’ তখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে মুচকি হাসি। কিছু দূরে বসা মন্ত্রী বাবুলও হেসে ফেলেন। পাশে বসা মন্ত্রী শশীও তখন হাসছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE