তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি-র বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তৃণমূল ভবনে অকালি দলের সঙ্গে কৃষি আইন সংক্রান্ত আলোচনার পর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এনডিএ-তে বিজেপি-র প্রাক্তন সঙ্গী শিরোমণি অকালি দলকে পাশে নিয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সুদীপ বলেন, ‘‘আমরা ব্লক স্তরে কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলব। এই বিলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলো রাস্তায় নামলে তাদের সমর্থন করবে তৃণমূল। এ ছাড়া ভবিষ্যতে আরও এই ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেবে দল।’’
ওই আইনের প্রতিবাদে অন্য আঞ্চলিক দলগুলি রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলে সেখানেও তৃণমূলের সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন সুদীপ। আগামী ৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার কৃষকরা যে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে, তাতেও তৃণমূলের ‘নৈতিক সমর্থন’ থাকবে। যা থেকে দলের নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে কৃষক ইস্যুতে বিরোধী ঐক্য তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক দলগুলোকে সঙ্গে নিতে চাইছে তারা।
কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা। এ ছাড়া দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার সিংঘু এলাকার প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নামার কর্মসূচি তৈরি করেছে তৃণমূল। ওই কর্মসূচি থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে চাইছেন মমতা। ১০ ডিসেম্বর দলীয় আন্দোলনে মমতারও যোগ দেওয়ার কথা। ফসলের ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য’নিয়েও সরব হয় তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ‘গ্যারান্টি’ দিতে হবে কেন্দ্রকে। কিন্তু নতুন কৃষি আইনে সে কথার কোথাও উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ করেন সুদীপ। কৃষকদের দাবিমতো কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিলেরও দাবি জানিয়ে সুদীপ বলেন, ‘‘শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে সংসদে বিল পাস করানো যায়। কিন্তু কৃষকদের সমস্যার সমাধান করা যায় না। কৃষকদের দাবিমতো আমরাও ওই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় মুকুল রায়কে চার্জশিট সিআইডি-র
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় দৃষ্টি পাঁচ ‘রোল’ পর্যবেক্ষকের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy