ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ভোটের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। সেই ভোটের জন্য তৈরি হওয়া ভোটার তালিকা প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন। আর সেই লক্ষ্যে তালিকার কাজে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন পর্যবেক্ষকরা। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
বঙ্গে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। যা শেষ হওয়ার কথা আগামী ১৫ ডিসেম্বর। এই সময়কালে শনি-রবিবার রাজ্যের ৭৮,৯০৩ টি বুথে থাকছে বিশেষ ক্যাম্পও। সেখানে গিয়ে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত ব্যাপারে যে কোনও কাজ করতে পারবেন মানুষ। একই সঙ্গে, অনলাইনেও সংশোধন প্রক্রিয়ার সুযোগ নিতে পারবেন তাঁরা। এই গোটা প্রক্রিয়া নজরে রাখছেন পাঁচ পর্যবেক্ষক। তাঁরা ভোটার তালিকার পর্যবেক্ষক। পোশাকি নাম ‘রোল অবজ়ার্ভার’।
রাজ্যে পাঁচটি ডিভিশন রয়েছে প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদহ এবং জলপাইগুড়ি। ওই পাঁচ ডিভিশনের আওতাধীন রাজ্যের ২৪টি নির্বাচনী জেলা (প্রশাসনিক ভাবে রাজ্যে ২৩ টি জেলা। তবে কলকাতাকে নির্বাচনী ক্ষেত্রে কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ হিসেবে ভাগ করা রয়েছে। তাই নির্বাচনী জেলা ২৪টি)। পাঁচজন ডিভিশনাল কমিশনার তাঁদের আওতাধীন ডিভিশনের ভোটার তালিকা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন। পর্যবেক্ষণের কাজ শুধুমাত্র খাতায় কলমে করে দায়িত্ব শেষ করবেন না পর্যবেক্ষকরা। তাঁরা সশরীরে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন জেলায় গিয়ে তালিকার কাজ খতিয়ে দেখবেন। তিন দফায় তাঁরা যাবেন বিভিন্ন জেলায়। গোটা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব-সহ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রাখছেন তাঁরা।
প্রথম দফায় আবেদন জমা পড়ার সময়সীমার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যে যাবেন ‘রোল অবজ়ার্ভার’। দ্বিতীয় দফায় আবেদনগুলি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার সময়ের মধ্যে। যার সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি নির্ধারিত করেছে কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা ১৫ জানুয়ারি প্রকাশ হওয়ার কথা। তার আগে সব খুঁটিনাটি দেখে নেবেন পর্যবেক্ষকেরা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সহায়ক হিসাবে কাজ করেন সহকারী (অ্যাসিস্ট্যান্ট) ডিভিশনাল কমিশনাররা।
২০২১ সালের রাজ্যের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়া ভোটার তালিকার দিকে নজর রয়েছে ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন স্তরের মানুষের। ফলে কিয়দংশে ‘চাপ’ রয়েছে কমিশনের উপর। তবে বিষয়টিকে এ ভাবে ব্যাখ্যা করা ঠিক নয় বলে দাবি কমিশন আধিকারিককদের অনেকের। তাঁদের মতে, ‘‘নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির চেষ্টা সব সময় করে কমিশন। তা সে ভোটের আগের বছর থাকুক বা না থাকুক। তাই চাপের কথা বলা অর্থহীন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy