পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর কেটে গিয়েছে তিন সপ্তাহ। এখন কেমন আছে কাশ্মীর ও সেখানকার মানুষ? তা জানতে কাশ্মীরে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল শ্রীনগর, পুঞ্জ এবং রাজৌরি সফরে যাচ্ছে।
ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে, সাংসদ নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মমতা ঠাকুর এবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই প্রতিনিধিদলে থাকবেন। তাঁরা ২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ওই অঞ্চলে থাকবেন, সীমান্তপারে আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলির সঙ্গে শোক ভাগ করে নেবেন। ওই জঙ্গি হামলার পরেই কাশ্মীরের পর্যটনে ব্যাপক ধস নেমেছে। সেখানকার পর্যটনশিল্প তো বটেই, প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানোর পর উপত্যকার পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। এ হেন পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীর এলাকার মানুষ কেমন আছেন, তা জানতেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল সেখানে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
তৃণমূল সূত্রে খবর, তিন দিনের এই কাশ্মীর সফর থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। আপাতত নিজেদের সফর নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। কারণ, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী দলের সর্বস্তরের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে প্রকাশ্যে যেন কেউ কোনও বিবৃতি না দেন। তাই এ ক্ষেত্রেও ওই প্রতিনিধিদলের কোনও সদস্য প্রকাশ্যে মন্তব্যে নারাজ। যদিও, হামলা হয়েছিল কাশ্মীর উপত্যকায়, কিন্তু তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদল যাবে জম্মু ও কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গাতেই।