মহেশতলায় জয়ী তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় বাহিনী আর নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে মহেশতলা বিধানসভার উপনির্বাচনে বিশেষ কোনও অভিযোগ ছিল না বিরোধীদের। এই অবস্থায় সেখানে ভোট ও জয়ের ব্যবধান উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়ে নিল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে বলেন, ‘‘ওখানে তো নির্বাচন কমিশন ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল। কোথাও কোথাও ওয়াটারলুর যুদ্ধের মতো বাঙ্কার তৈরি করা হয়। তা-ও তো বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের মিলিত ভোটের থেকে আমরা ৩০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছি।’’ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল প্রায় ৯৪ হাজার। এ বার উপনির্বাচনে তারা পেয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮১৪ ভোট। শাসক দলের ভোট বৃদ্ধির হার ১০%।
এই ভোটেও দ্বিতীয় হিসাবে এগিয়ে এসেছে বিজেপি। তারা ভোট বাড়িয়েছে প্রায় ১৬%। ২০১৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতার একই বিন্যাসে বিজেপি পেয়েছিল প্রায় ৭% ভোট। এ বার প্রায় ২৩%। বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট ৪২% থেকে কমে হয়েছে প্রায় ১৭%। অর্থাৎ, জোটের যে ভোট ভেঙেছে, তার অনেকটাই টেনে নিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: বাড়ল ব্যবধান, জয় তৃণমূলের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে বিজেপি-র এগনোর ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে।’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল-বিজেপি ভোট ভাগ করে নিয়েছে।’’ একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানেরও।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় বিরোধীদের অভিযোগের অভিমুখে ছিল তৃণমূল। এ দিন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রমাণ হল, এ রাজ্যে কোন বাহিনী ভোট পরিচালনা করল, তা বিষয় নয়। মানুষ মমতার উপরেই আস্থা রেখেছেন।’’
এখানে সংখ্যালঘু ভোট প্রায় ৪০ শতাংশ। তার মেরুকরণ হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। তৃণমূল প্রার্থী দুলাল দাস বলেন, ‘‘এটা উন্নয়নের ভোট। সিপিএমের সঙ্গে জোট না মেনে নেওয়ায় কংগ্রেসের ভোটের একাংশও তৃণমূলের দিকে এসেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy