উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার যে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল, তা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হল। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলাটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার শুনানির সম্ভাবনা।
উচ্চ প্রাথমিকে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ করার জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে রাজ্য। ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৯ মে এবং ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দু’টি খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:
-
নীচে আগুন, রাতভর অফিসের ছাদে সিঁটিয়ে ২৮ কর্মী, পাইপ বেয়ে নামতেই গণধোলাই! কী ঘটে দুই সংবাদপত্রের দফতরে
-
ক্ষতিগ্রস্ত সংবাদপত্রের দফতরে ফোন, বাংলাদেশ জুড়ে রাতভর তাণ্ডব নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ইউনূস, কী বার্তা?
-
রাজ্য বলেছিল, ফেব্রুয়ারির আগে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ হবে না! জানুয়ারিতেই করতে বলল হাই কোর্ট, খারিজ যুক্তি
সুপার নিউমেরারি পদের উপর ২০২২ সালেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় এই পদের প্রসঙ্গ ওঠে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি। তা দেখিয়ে গত এপ্রিল মাসে রাজ্য ফের হাই কোর্টে আবেদন করে। বক্তব্য ছিল, উচ্চ প্রাথমিকে সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের অনুমতি দিক আদালত। কিন্তু ৭ মে বিচারপতি বসুর বেঞ্চ এই অতিরিক্ত শূন্যপদের উপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছিল। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এর পর চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি বসু। তাঁর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল।
সুপার নিউমেরারি পদ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত (রেগুলার) নিয়োগের জন্য এই ধরনের পদ তৈরি করা যায় না। কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতেই তা তৈরি করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাজ্যের সামনে তেমন কোনও বিশেষ পরিস্থিতি ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই রাজ্যের সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।