Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Recruitment Scam

২০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে এজেন্ট মারফত কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল! দাবি ইডির

ইডি সূত্রে আরও খবর, চাকরিপ্রা‌র্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা এই মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Picture of Kuntal Ghosh

হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ ইডির। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৬
Share: Save:

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে আরও গুরুতর দাবি করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে শুনানিতে ইডির দাবি, প্রাথমিক থেকে নবম-দশম শ্রেণির ২০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে নিজের এজেন্টদের মারফত কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। পাশাপাশি, কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্র যাচাই করে আরও এক নারীর সঙ্গে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিস মিলেছে।

বুধবার আদালতে ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘‘আমরা (কুন্তলের) ১০ জন এজেন্টের বয়ান নিয়েছি। যেখানে তাঁরা জানিয়েছেন যে, ২০০ জন প্রার্থীর থেকে টাকা তুলে তাঁরা কুন্তলকে দিয়েছেন। ওই ২০০ জনের থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। প্রতি প্রার্থীদের থেকে তিনি (এজেন্টদের দিয়ে) ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন।’’ এ ছাড়া, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি যাচাই করার পর এক মহিলাকে তলব করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির এক সূত্রে আরও দাবি, ২০২০ থেকে এই মহিলার সঙ্গে কুন্তলের ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে।

কুন্তলের বিরুদ্ধে ইডির আইনজীবী আরও দাবি, ‘‘শুধু প্রাইমারি (প্রাথমিক) নয়। আপার প্রাইমারি (উচ্চ প্রাথমিক) এবং নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা তুলেছেন কুন্তল।’’ এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইডিকে একটি নতুন মামলার তদন্তভার দিয়েছে হাই কোর্ট।

ইডি সূত্রে আরও খবর, চাকরিপ্রা‌র্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই টাকার পুরোটাই নগদে লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি।

শুধু চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই নয়, বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্যই টাকা নেওয়া হয় বলে ইডি সূত্রের দাবি। সে ক্ষেত্রে পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও কাজে লাগানো হয়েছে বলে মনে করছে ইডি। এ বিষয়ে জেলে গিয়ে এই দু’জনকে জেরার আবেদন করেছে তারা।

এই মামলায় গত ১৪ দিনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আদালত। তদন্তকারী আধিকারিকেরা বিচারকের কাছে বেশ কিছু নথিপত্রও দেখিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE