E-Paper

বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হামলা’ টিএমসিপি-র

এসএফআইয়ের তরফে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ০৭:৩৫
ক্য়াম্পাসে হামলার সময়ে। মঙ্গলবার কল্যাণীতে।

ক্য়াম্পাসে হামলার সময়ে। মঙ্গলবার কল্যাণীতে। ছবি: অমিতকুমার মণ্ডল।

যাদবপুরের আঁচ ছড়াল কল্যাণীতেও। মঙ্গলবার বহিরাগতদের নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসএফআই সমর্থক ও বাম শিক্ষাকর্মী সংগঠনের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিরুদ্ধে। এক সংবাদকর্মীর ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া এবং সাদা পোশাকে থাকা দুই সিভিক কর্মীকে ‘মারধরও’ করা হয় বলে অভিযোগ।

এসএফআইয়ের তরফে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। রানাঘাট পুলিশ-জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ ধাপোলা এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় বলেন, “বুধবার (আজ) উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘গাড়ির ধাক্কায়’ ছাত্র জখম হওয়ার প্রতিবাদে নদিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল এসএফআই। কিন্তু এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কিছু টিএমসিপি সমর্থক ঝান্ডা-হাতে সেখানে জড়ো হয়ে এসএফআই-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। কিছু পরেই বহিরাগতেরা ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, ক্যাম্পাসের ‌ভিতরে একটি চায়ের দোকানের সামনে এসএফআই সমর্থক এবং বামপন্থী সংগঠন ‘কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি’র সদস্যদের উপরে ‘চড়াও’ হয় বহিরাগতেরা।

এসএফআইয়ের অভিযোগ, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা টিএমসিপি-র সহ-সভাপতি আকাশ দাস এবং কল্যাণী শহর টিএমসিপি সভাপতি অঙ্কুর মজুমদার। দু’জনেই ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগত’।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMCP kalyani university SFI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy