Advertisement
১১ মে ২০২৪

নিহতের বাড়িতে টিএমসিপি নেতা, ছাত্র খুনে ফের জল্পনা

সবংয়ে ছাত্র খুনের ঘটনা নিয়ে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হল। নিহত কৃষ্ণপ্রসাদ জানার বাড়িতে ইতিমধ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতারা গিয়েছেন। এ বার নিহতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি।

সবংয়ে আক্রান্ত আমরা।—নিজস্ব চিত্র।

সবংয়ে আক্রান্ত আমরা।—নিজস্ব চিত্র।

দেবমাল্য বাগচী
সবং শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৫ ০০:৫৫
Share: Save:

সবংয়ে ছাত্র খুনের ঘটনা নিয়ে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হল। নিহত কৃষ্ণপ্রসাদ জানার বাড়িতে ইতিমধ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতারা গিয়েছেন। এ বার নিহতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি। আজ, সোমবার তেমাথানিতে তৃণমূলের সভা রয়েছে। তার আগে টিএমসিপি জেলা সভাপতির কৃষ্ণপ্রসাদের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনই টিএমসিপি কর্মী-সমর্থক।

রবিবার সবংয়ের দাঁতরদা-বাটিটাকি গ্রামে কৃষ্ণপ্রসাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছবিতে মালা দেন রমাপ্রসাদ। নিহতের বাবা ও দাদাদের সঙ্গে কথাও বলেন। একই সঙ্গে দাবি করেন, তাঁদের সংগঠনের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। পরে রমাপ্রসাদ বলেন, “আমি নৈতিক কারণে ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। এটা ব্যক্তিগত যোগাযোগ। দলের সিদ্ধান্ত নয়। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যাপারে কৃষ্ণরপ্রসাদের পরিবারের সঙ্গে আমরা একমত।”

কিন্তু ঘটনার এতদিন পরে কেন গেলে, সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি রমাপ্রসাদ। নিহত ছাত্রের দাদা নারায়ণ জানার বক্তব্য, “টিএমসিপি নেতা রমাপ্রসাদ গিরি এই প্রথম এলেন। তিনি ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নয় বলে দাবি করলেন। এমনকী প্রকৃত খুনিদের শাস্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার কথা বলেছেন। এ নিয়ে তৃণমূল সভার আয়োজন করেছে বলে উনি জানিয়েছেন।” আপনারা কি সভায় যাবেন? নারায়ণের জবাব, “আমরা যাব না।” সবংয়ের তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি অবশ্য বলেন, “আমরা সভায় ওই পরিবারকে আসতে বলেছি। ওঁরা কী করবেন সেটা ওঁদের ব্যপার।”

এ দিন নিহত কৃষ্ণপ্রসাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ‘আক্রান্ত আমরা’ প্রতিনিধিরা। দলে ছিলেন ওই মঞ্চের আহ্বায়ক অম্বিকেশ মহাপাত্র, অরুণাভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রতিমা দত্ত, প্রমীলা রায়, ইব্রাহিম সিদ্দিকি, তুলসী সামন্ত-সহ ১২জন। তাঁরাও কথা বলেন নিহতের বাবা ভানুভূষণ জানা ও মা যমুনাদেবীর সঙ্গে। তাঁদের সিবিআই তদন্তের দিকে এগোনোর পরামর্শ দেন অম্বিকেশবাবুরা। পরে অম্বিকেশবাবু বলেন, “প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজ চত্বরে এক ছাত্রকে পিটিয়ে খুন করা হল। তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী নানা কথা বলে দিলেন। সেই পথেই পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ দোষীদের আড়ালের চেষ্টা করলেন। আমরা পুলিশ সুপারের ভূমিকা রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছি।” এ দিন নিহতের বাড়ি থেকে মিছিল করে সবং কলেজে যান ‘আক্রান্ত আমরা’র প্রতিনিধিরা। কলেজের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলেজে গেটে পোস্টারও সাঁটানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE