দিদি চাইলে তিনি হাওড়া ব্রিজ থেকে ‘ঝাঁপ’ দিতে পারেন। ‘বিষপান’ও করতে পারেন। কিন্তু জেলা সভাপতির নির্দেশ মানবেন না। তাই কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধানের পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দেবেন না বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
গত লোকসভা ভোটে যে সব পুর এলাকায় খারাপ করেছে দল, মূলত সেই সব পুরসভার পুরপ্রধান এবং উপ-পুরপ্রধান পদে রদবদল করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভায় এই বদল হয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শহুরে ভোট পুনরুদ্ধার করতেই নতুন মুখ আনতে চাইছে শাসকদল। তবে কিছু জায়গায় এই রদবদল করতে গিয়ে দলীয় কোন্দলও শুরু হয়েছে। কোচবিহারেও তেমনই পরিস্থিতি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই সব রদবদল হচ্ছে। তবে পুরপ্রধান এবং উপ-পুরপ্রধানদের পদত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছেন জেলা সভাপতিরা। এখানেই গোলযোগ বাধছে। দলীয় নির্দেশ মেনে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ পুরসভার উপ-পুরপ্রধান তনু সেন পদত্যাগ করলেও, কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবি জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সরাসরি নির্দেশ দিলে তবেই তিনি পদত্যাগ করবেন। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি বিষপান করতে বলে, আমি রাজি। যদি বলেন হাওড়া ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিতে, আমি তাতেও রাজি। কারণ, আমি তৃণমূলের নির্ভীক সৈনিক। কিন্তু অন্য কারও নির্দেশ মানব না।’’
ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মাথাভাঙা পুরপ্রধান লক্ষপতি প্রামাণিকও। তিনি অবশ্য দু’-এক দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, যদি ‘পারফর্ম্যান্সের’ ভিত্তিতেই এই রদবদল হয়ে থাকে, তা হলে কেন শহর ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? জেলা সভাপতিও এ ভাবে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারেন না বলেই দাবি পুরপ্রধানের।
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না। এই বিষয়গুলো আমি সঠিক কিছু জানি না।’’