Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Nabanna

সমস্যা সমাধান কর্মসূচি সফল করতে ছুটিতেও জেলা ছাড়তে পারবেন না আধিকারিকেরা, নির্দেশ নবান্নের

শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে ‘সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচি’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রামীণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্য।

To make the problem-solving-public relations program successful, the officials cannot be released even on leave, according to the district directive of Nabanna.

কর্মসূচি সফল করতে ছুটিতেও জেলার দায়িত্ব ছাড়তে পারবেন না আধিকারিকেরা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৭
Share: Save:

গত সপ্তাহে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ‘সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচি’ চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচি সফল করতে ছুটিতেও জেলার দায়িত্ব ছাড়তে পারবেন না আধিকারিকেরা। নবান্ন সূত্রে খবর, এমনই নির্দেশ জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক। শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে ‘সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচি’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রামীণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্য। শনিবার এই কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকেই আধিকারিকদের এই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলায় কর্মরত আধিকারিকদের অনেকেই সপ্তাহান্তে বা ছুটি পেলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার কাজ ছেড়ে পরিবারের কাছে ফেরেন কিংবা বেড়াতে যান। শীতের সময় সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব বুঝিয়ে দিয়েছেন, ছুটি থাকলেও সংশ্লিষ্ট জেলা ছেড়ে বেরোতে পারবেন না আধিকারিকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া ‘সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচি’ পালনে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, তা নিতে হবে। কর্মসূচি সংক্রান্ত কোনও কাজ বাকি থাকলে তা ছুটির সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। দায়িত্ব ফেলে দিয়ে জেলা স্তরের আধিকারিকদের কর্মস্থল ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রুখতে শীঘ্রই একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ বা এসওপি জারি করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ কী কী সুবিধা পাবেন, সেই বিষয়ে যাতে সঠিক ভাবে প্রচার করা যায়, সেই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে আধিকারিকদের। কর্মসূচি রূপায়ণে কোনও ত্রুটি থাকলে তার দ্রুত সমাধান করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে। পরিষেবামূলক এই কর্মসূচি যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হচ্ছে, তা-ও তুলে ধরতে হবে।

প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, আগামী লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকার নিজেদের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের পরিষেবা রাজ্যের গ্রামীণ জনতার কাছে পৌঁছে দিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কে শান দেওয়ার কাজ করছে। তাই জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে যাতে এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে সরকারি আধিকারিকেরা বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই কড়া নির্দেশ জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE