ভাঙড়ে গোলমালের তদন্ত নিয়ে গোয়েন্দাদের তুলোধোনা করার পরে শিশু পাচারের তদন্তেও সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। তাদের পর্যবেক্ষণ, শিশু পাচার নিয়ে সিআইডি-র তদন্তে প্রচুর ফাঁক থেকে গিয়েছে।
শিশু পাচারে জড়িত সন্দেহে কলকাতার একটি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানিতে বুধবার উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি অসীম রায়। ‘‘তদন্তে এত ফাঁক থাকলে নিম্ন আদালতে ভুগতে হবে তদন্তকারীকে,’’ বলেছেন বিচারপতি।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রশ্ন তুলেছিলেন, পুলিশ ঠিক কী কারণে ভাঙড়ের দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারছে না? জবাব চেয়ে সিআইডি-র এডিজি রাজেশ কুমারকে তলব করেছেন তিনি। আর শিশু পাচারের তদন্তে ফাঁক থেকে যাওয়ায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে জামিন দেওয়া হবে না কেন, তদন্তকারীকে আজ, বৃহস্পতিবার তার ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রায়।
সিআইডি জানায়, বাদুড়িয়ার শিশু পাচারের তদন্তে কলেজ স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমের সন্ধান মেলে। ওই নার্সিংহোমের মালিক দম্পতি এবং সেখানকার চিকিৎসক সন্তোষকুমার সামন্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চিকিৎসক ১৬১ দিন জেলে আছেন। জামিনের আবেদন করেছেন তিনি।
সরকার পক্ষের হয়ে জামিনের বিরোধিতা করেন এজি কিশোর দত্ত এবং পিপি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়। বিচারপতি রায় বলেন, কলেজ স্ট্রিটের নার্সিংহোম থেকে একটি শিশুকন্যাকে এক মহিলার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। ওই শিশুর বাবা-মা কারা, তার তদন্ত আদৌ হয়েছে কি? শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছে কি? বিচারপতির আরও প্রশ্ন, আদালতের অনুমতি না-নিয়ে এক মহিলা কী ভাবে ওই শিশুকন্যাকে কিনে নিলেন? সেই মহিলার বিরুদ্ধে সিআইডি আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কেন?
বিচারপতি রায়ের মন্তব্য, কলেজ স্ট্রিটের ওই নার্সিংহোম থেকে একটি মাত্র শিশু পাচার হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে একটি ঘটনারই প্রমাণ মিলেছে, তা হলেই কি বলা যায়, ওই চিকিৎসক শিশু পাচার চক্রে যুক্ত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy