গৌতম দেব
নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালন করতে গিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একদল সমর্থকের বিক্ষোভ-হামলার মুখে পড়লেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এবং তা-ও শিলিগুড়ির অদূরে কার্শিয়াঙের পানিঘাটায়। অনুষ্ঠান শুরুর পরে ঢিল পড়তে শুরু করে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা আটকানোর চেষ্টা চলে। তার পরে খুকুরি নিয়ে হামলার হুমকিও দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে ওখান থেকে সরিয়ে আনা হয়। পরে মন্ত্রী একটু পিছিয়ে এসে চেঙ্গা নদীর ধারে আর একটি অনুষ্ঠান করেন।
কিন্তু যে ভাবে পানিঘাটা বাজারের কাছে মন্ত্রীকেও তোয়াক্কা না করে তাঁকে হামলার নিশানা করা হলো, তাতে প্রশাসন চিন্তিত। পানিঘাটার দূরত্বও শিলিগুড়ি থেকে বেশি দূরে নয়। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘প্রতি বছর পাহাড়ে গিয়ে কবি ভানুভক্তকে শ্রদ্ধা জানাই। এ বার পানিঘাটায় সরকারি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। পাথর ছোড়া হয়েছে। খুকুরি নিয়ে তাড়া করে আসতে দেখেছি। আমরা জবরদস্তি করে পানিঘাটা বাজারে ঢুকিনি। কারণ, যুদ্ধ করতে তো যাইনি।’’ গৌতমবাবু ফিরে যাওয়ার পরে পানিঘাটায় মোর্চার পুরুষ সমর্থকেরা নগ্ন হয়ে বিক্ষোভ দেখান বলে খবর।
অশান্তি: পানিঘাটায় গৌতম দেব যাওয়ার আগে পাথর ফেলে আটকানো হয়েছে রাস্তা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ঘটনার পিছনে মোর্চা এবং বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পর্যটনমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্র বাহিনী দিচ্ছে না বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’’ মোর্চা নেতৃত্বের অবশ্য এই অভিযোগে হেলদোল নেই। মোর্চা নেতা রোশন গিরির দাবি, তাঁরা হামলা চালাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। পানিঘাটায় আমাদের কেউ কিছু করেনি।’’
রোশন যা-ই বলুন, মোর্চার দিকে আঙুল তুলেছে পুলিশও। পুলিশ সূত্রে খবর, পানিঘাটায় মন্ত্রী যাবেন— এটা জানাজানি হতেই তাঁকে আটকে রাখার ছক কষে মোর্চার একদল সমর্থক। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশের একাংশ মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, পানিঘাটা বাজারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু মন্ত্রী জানান, সঙ্ঘাতে না গেলেও তিনি পানিঘাটা বাজার পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করবেনই। সেই মতোই প্রথমে এগিয়েছিলেন। গোলমাল শুরুর পরে সরে এসে দু’টি জায়গায় অনুষ্ঠান করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy