রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়ে দু’টি ষাঁড়ের লড়াই। নিজস্ব চিত্র।
রায়গঞ্জ শহরে দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের কার্নিভালে গরুর গুঁতোয় এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনার পরে তিন দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও শোরগোল চলছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার দু’টি ষাঁড়ের লড়াই ও তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে পথচারী, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক চরমে ওঠে।
প্রায় আধ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রায়গঞ্জ শহরের বিদ্রোহী মোড় এলাকার রাজ্য সড়ক। থেমে যায় সমস্ত যানবাহন। ষাঁড়ের গুঁতো থেকে বাঁচতে পথচারী ও বাসিন্দারা ছুটোছুটি শুরু করেন। বন্ধ হয়ে যায় এলাকার বেশ কিছু দোকানপাট। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দু’টি ষাঁড়ের লড়াইয়ে শিং ভেঙে একটি ষাঁড় রক্তাক্ত হয়। তার পরে, ষাঁড় দু’টি সেখান থেকে চলে যায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ষাঁড়ের তাণ্ডব চলছে। অথচ, প্রশাসন তাদের ধরে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে না। ফলে, যে কোনও সময়ে ষাঁড়ের লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে পথচারী ও বাসিন্দাদের হতাহত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “ষাঁড় ধরা পুরসভার কাজ নয়।” মহকুমাশাসক (রায়গঞ্জ) কিংশুক মাইতি বলেন, “শহরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো ষাঁড় ধরে খোঁয়াড়ে পাঠানো যায় কি না, দেখা হচ্ছে।”
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ আচমকা শহরের বিদ্রোহী মোড় এলাকার রাজ্য সড়কের উপরে দু’টি ষাঁড় শিং উঁচিয়ে তুমুল লড়াই শুরু করে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ঘুরপাক খেতে থাকে ষাঁড় দু’টি। তাদের ধাক্কায় রাস্তার ধারে থাকা একের পরে এক মোটরবাইক ও সাইকেল পড়ে যায়। কার্নিভালের ঘটনার কথা মাথায় রেখে ষাঁড়ের গুঁতোর ভয়ে পথচারী, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ছুটোছুটি শুরু করেন।
বাসিন্দারা জানান, আধ ঘণ্টা ধরে লড়াই চলতে থাকে। রাস্তার সমস্ত যানবাহন ও হাঁটা চলা স্তব্ধ হয়ে যায়। কিছু ব্যবসায়ী দোকানের ভিতরে ঢুকে পড়েন। দৌড়ে সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তুষারকান্তি গুহ। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থেই দ্রুত শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ষাঁড় ধরে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy