ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার পর গোয়া। কথা ছিল সাংসদদের একটি দল যাবে পশ্চিমের ওই রাজ্যে। সেই মতো গোয়ায় পৌঁছলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেখানে স্থানীয় কয়েক জন নেতার সঙ্গে বৈঠক হতে পারে দু’জনের। সাত দিন উপকূল রাজ্যে থাকবেন তাঁরা। ফিরে এসে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেবেন দলের কাছে। তার পরেই গোয়ায় যেতে পারেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার রাজনীতিতে দলীয় উপস্থিতি জানান দিতে বেশ কিছু দিন ধরে সেখানে যাতায়াত করছেন তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতা। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে যুব সংগঠনের নেতারা যাচ্ছেন। বাদ যাননি অভিষেকও। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির রাজনীতিতে তৃণমূল নিজের পায়ের জমি শক্ত করতে চাইছে। অসমের কংগ্রেসনেত্রী সুস্মিতা দেবের তৃণমূলে যোগদান এবং পরে তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করায় তা আরও স্পষ্ট হয়েছে । পাশাপাশি, মানচিত্রের পশ্চিমেও যেতে চাইছে তৃণমূল। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের নীল নকশা এখন থেকেই তৈরি করতে চাইছে মমতার দল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে গোয়ায়। আগেই সেখানে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক সংস্থার ২০০ কর্মী পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে খবর। ঠিক যেমন ভাবে ত্রিপুরাতেও আইপ্যাকের কর্মীরা আগে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝতে চেয়েছেন। সেই কর্মীদের হোটেলবন্দি করে রাখাতেই বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূলের সে রাজ্যে ঝামেলার শুরু। গোয়াতেও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে প্রথমে গিয়ে জল মেপেছে আইপ্যাক। তার পর গেলেন তৃণমূলের সাংসদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy