Advertisement
E-Paper

ট্রলি-কাণ্ডের মা ও মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হল বারাসত কোর্টে, টিআই প্যারেডের আবেদন জানাবে পুলিশ

ট্রলি-কাণ্ডে অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে বারাসত আদালতে নিয়ে যাওয়া হল। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন জানাবে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৭
(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত মেয়ে ও মা। সেই ট্রলি ব্যাগ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত মেয়ে ও মা। সেই ট্রলি ব্যাগ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ট্রলি-কাণ্ডে অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে বারাসত আদালতে নিয়ে যাওয়া হল। বুধবার দু’জনকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁদের এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কলকাতা পুলিশকে এই সংক্রান্ত কেস ডায়েরি মধ্যমগ্রাম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যে হেতু অভিযুক্তেরা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এবং মূল ঘটনাও সেখানে ঘটেছে, তাই তদন্তভার মধ্যমগ্রাম থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন জানাবে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। দুই অভিযুক্তকে অন্য মহিলাদের সঙ্গে একই সারিতে দাঁড় করিয়ে সাক্ষীদের দ্বারা চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। যে ট্রলি ব্যাগে দেহটি ভরা হয়েছিল, সেটিরও চিহ্নিতকরণ হবে। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, টিআই প্যারেড শেষ হলে মা ও মেয়েকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে কুমোরটুলি ঘাটের কাছে ধরা পড়েন অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষ। তাঁদের কাছে একটি ট্রলি ব্যাগ ছিল। তার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলা ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষ। তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিতে ভরেছিলেন মা এবং মেয়ে। তার পর ট্যাক্সি করে ট্রলি নিয়ে এসেছিলেন কুমোরটুলি এলাকায়। সেখানে গঙ্গায় ট্রলি ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যান।

মঙ্গলবার রাতেই ফাল্গুনীকে নিয়ে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লীতে তাঁর ভাড়াবাড়িতে গিয়েছিল কলকাতার নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক দলও। সেখান থেকে ২০টি জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ইট দিয়ে পিসিশাশুড়ির মাথা, মুখ এবং‌ ঘাড়ে আঘাত করেছিলেন ফাল্গুনী, তা উদ্ধার করা গিয়েছে। ওই ইট বাড়ির বাইরে বাগানে ফেলে দিয়েছিলেন ফাল্গুনী। খুনের কথা পুলিশি জেরার মুখে তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন।

madhyamgram Trolley body recovery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy