—ফাইল চিত্র।
দলের রাজ্য সভাপতির কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে মিছিল, জমায়েত চলছিল। তার মাঝেই পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটোয়ার স্টেশন বাজার চৌরাস্তার ঘটনা। গোলমালে আহত হয়েছেন এক এসআই ও দুই পুলিশকর্মী। দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এ দিন কাটোয়া গণেশ মার্কেটে বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে থেকে মিছিল বের করেন দলের কর্মী সমর্থকেরা। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ স্টেশন বাজার চৌরাস্তায় ওই মিছিল পৌঁছয়। সেই সময় বাসস্ট্যান্ড থেকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালগামী একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, পুলিশের উপর চড়াও হয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জ্বলন্ত কুশপুত্তলিকার আগুন এসে ছিটকে পড়ে এসআই মধুমিলন ভাণ্ডারির হাতে। বাঁশ দিয়ে তাঁর পিঠে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। ধস্তাধস্তির সময় সিভিক পুলিশ শুভ দাস, ভিলেজ পুলিশ মিঠুন চক্রবর্তীও চোট পান। তিন জনকেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
পরে পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির নগর সভাপতি অনুপ ঘোষ ও কেতুগ্রাম যুব-র সভাপতি রাজেন্দ্র মণ্ডলকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তার উপর অ্যাম্বুল্যান্সের মতো আপদকালীন যান আটকে ব্যস্ততম রাস্তায় বিক্ষোভ চলছিল। আরও কারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত সেই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
যদিও বিজেপি কর্মীদের দাবি, ওই এসআই পুলিশের পোশাকে ছিলেন না। বিজেপির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের কথায়, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে ছদ্মবেশী পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনি। আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। আবার উল্টে আমাদের কর্মীকেই গ্রেফতার করা হল।’’
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নিন্দনীয় ঘটনা। জনসমর্থন না পেয়ে এরকম দুর্ভাগ্যজনক কাজ করছে বিজেপি। পুলিশ উপযুক্ত দোষীদের খুঁজে বের করুক।’’ ওই এলাকায় থাকা পুরসভার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy