তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আদালতে প্রশ্ন ওঠার পর থেকে সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল সিবিআই। চার দিন আগে সারদা মামলায় মিডিয়া ব্যবসায়ী রমেশ গাঁধীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে এ বার রোজ ভ্যালির দুই কর্তাকে গ্রেফতার করল তারা।
সিবিআই সূত্রের খবর, শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল রোজ ভ্যালির দুই কর্তা শিবময় দত্ত ও অশোককুমার সাহাকে। জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে ওই দু’জন যা বলেছেন, তাতে অসঙ্গতি থাকায় বিকেলে তাঁদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা।
রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে বাজার থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা তোলা, তহবিল তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগে ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু এবং কর্মী ইউনিয়নের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ওই একই অভিযোগে এ দিন দুই কর্তাকে গ্রেফতার করেন সিবিআই। একটি সূত্রের দাবি, রোজ ভ্যালির কাজকর্মে মালিককে সক্রিয় ভাবে সহযোগিতা করেছেন শিবময় ও অশোক। তাঁরা যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন। আজ, শনিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করবে সিবিআই।
সারদা কাণ্ডে ধৃত মিডিয়া ব্যবসায়ী রমেশ গাঁধীকে এ দিন ফের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত আদালতে জানান, সিবিআই বৃহস্পতিবার রমেশের অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই তথ্য যাচাই করা দরকার। তা ছাড়া রমেশকে নিয়ে আরও তল্লাশি চালানোরও প্রয়োজন আছে। তাই অভিযুক্তকে আরও পাঁচ দিন তাঁদের হেফাজতে রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।
অভিযুক্তের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, তাঁর মক্কেল খুবই অসুস্থ। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি সিবিআইয়ের সঙ্গে যথাসাধ্য সহযোগিতা করছেন। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থবাবুর অভিযোগ, রমেশ তদন্তে কোনও সহযোগিতাই করছেন না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক পবিত্র সেন নির্দেশ দেন, রমেশকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআইয়ের হেফাজতে রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy