Advertisement
০৭ মে ২০২৪
IISER

IISER: দানা বাঁধছে রহস্য! গবেষকের মৃত্যুতে গোপন জবানবন্দি দিতে আদালতে দুই বন্ধু

নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, ল্যাবের মধ্যে যা কিছু পাওয়া গিয়েছে সেগুলো আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছি।

গবেষকের মৃত্যুর ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য।

গবেষকের মৃত্যুর ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৩৫
Share: Save:

আইসার কলকাতায় গবেষকের অপমৃত্যুর মামলায় গোপন জবানবন্দি দিতে বৃহস্পতিবার নদিয়ার হরিণঘাটা আদালতে নিয়ে যাওয়া হল তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে। মৃতের মা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করলেও রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

নদিয়ার হরিণঘাটা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অব সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার) কলকাতার তরুণ গবেষক শুভদীপ রায়ের মৃত্যুতে দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার ল্যাবরেটরিতে তাঁর মৃতদেহ মেলার পরে আইসারের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার আবার শুভদীপের মা, কলকাতার নাগের বাজারের বাসিন্দা অঞ্জনা রায় ছেলের রিসার্চ গাইডের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে ওই দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়াও আরও কাউকে কাউকে ডাকা হতে পারে।

আইসার সূত্রের খবর, এ দিনই একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। আইসার কলকাতার অধিকর্তা সৌরভ পাল বলেন, “কমিটি যে রিপোর্ট দেবে তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেব। শুভদীপের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশও তদন্ত করছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, কোনও রাসায়নিক নিজের উপর প্রয়োগ করে শুভদীপ আত্মঘাতী হয়েছেন। স্বজন ও বন্ধু-সহপাঠীদের একাংশের অভিযোগ, যে অধ্যাপক শুভদীপের রিসার্চ গাইড ছিলেন, গবেষণার কাজে তিনি সাহায্য করতেন না। নিজেই পেপার লিখে প্রকাশ করতে হত শুভদীপকে। এই নিয়ে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। পুলিশ একটি ‘সুইসাইড নোট’ পেয়েছে, যেটির হাতের লেখা তাঁর ছেলের বলে শনাক্ত করেছেন রঞ্জনা রায়, তবে তাতে কারও স্বাক্ষর নেই।

নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, “ল্যাবের মধ্যে যা কিছু পাওয়া গিয়েছে সেগুলো আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছি। প্রধান সাক্ষী কারা রয়েছেন তা আমরা দেখছি, তাঁদের জবানবন্দি নেওয়া হবে।” শুভদীপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেবজিৎ গুহ বলেন, “আইন আইনের পথে চলছে। আমরা ভরসা রাখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

IISER PHD Scholar Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE