মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক পুলিশকর্মীকে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
থানার মালখানা পরিষ্কার করার সময় শব্দবাজি ফেটে গুরুতর জখম হলেন দুই পুলিশকর্মী। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতন থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাগ ভর্তি শব্দবাজি পুড়িয়ে দিতে গিয়েছিলেন দুই এনভিএফ দিব্যেন্দু আচার্য ও আশিস দাস। তখনই বিকট শব্দে ফাটতে শুরু করে নিষিদ্ধ বাজি। ঝলসে যান দুই পুলিশকর্মী।
তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে দাঁতন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। কালীপুজো-দীপাবলির মরসুমে দাঁতন থানাতে বাজেয়াপ্ত করে আনা হয়েছিল চকলেট বোমা, দোদোমা, গাছবোমা-সহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ শব্দবাজি। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ওই শব্দবাজি মালখানা থেকে বের করে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই দুই এনভিএফ কর্মীকে নির্দেশ দেন থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। বাজির ব্যাগ নিয়ে থানা চত্বরেই খোলা জায়গায় কাগজ জ্বালিয়ে শব্দবাজি পোড়াতে যান দিব্যেন্দু ও আশিস। তখনই বিপত্তি বাধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরেই জলে ডুবিয়ে শব্দবাজি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেনই বা ঝুঁকি নিয়ে থানা চত্বরে শব্দবাজি পোড়ানো হচ্ছিল সেই সব প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে এসে দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, “এ তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার! মালখানায় মজুত থাকাকালীন যদি শব্দবাজিতে বিস্ফোরণ হত তাহলে তো আরও বড় বিপদ হত।” বাজি নিষ্ক্রিয় করতে কেন নিয়ম মানা হয়নি? পুলিশ সুপারের জবাব, ‘‘ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে তদন্ত হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy