নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে দুই ছাত্র এ বার মাধ্যমিকের সম্ভাব্য মেধা তালিকায় প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে সোমতীর্থ করণ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। সোমতীর্থ ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা। অষ্টম স্থানে রয়েছে বিহারের পুষ্পক রত্নম। সে পেয়েছে ৬৮৮। এ ছাড়া, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র অভ্রদীপ মণ্ডল ৬৯০ পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
অষ্টম স্থানাধিকারী পুষ্পকের বাড়ি বিহারের নালন্দায়। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সেখানকারই স্কুলে পড়াশোনা তার। পঞ্চম শ্রেণিতে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় পুষ্পক। তার দুই দাদা আগে নরেন্দ্রপুরে পড়েছে। তাদের দেখেই নরেন্দ্রপুরে আসার স্বপ্ন দেখত ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে পুষ্পক। স্কুলে এসে প্রথমে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে এখন বন্ধুদের সঙ্গে ঝরঝরে বাংলায় কথা বলে সে।
পুষ্পকের কথায়, “কত ক্ষণ পড়ছি, সেটা বড় নয়। আসল ব্যাপার হল, কতটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। আর এই জায়গায় মিশনের কোলাহলমুক্ত, বিশেষত মোবাইলমুক্ত পরিবেশের বড় ভূমিকা রয়েছে।”
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনেরই সোমতীর্থ ৬৯১ পেয়ে পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা সোমতীর্থের বাবা ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। মা অসীমা করণ বলেন, “ডাক্তারি পড়া ছেলের ছোটবেলার স্বপ্ন। সেই পথেই এগোতে চায়।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ বলেন, “১২৩ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। সম্ভাব্য মেধা তালিকায় দু’জন জায়গা পেয়েছে।”
নরেন্দ্রপুরের সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র অভ্রদীপ ৬৯০ পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে ধারাবাহিক ভাবে ভাল ফল করছে এই স্কুল। কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় ব্যথিত অভ্রদীপ বলে, “ধর্ম নিয়ে যে উচ্চবাচ্য হচ্ছে, আমাদের এ সবের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)