E-Paper

হুমকি, অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা

পাঁশকুড়ার ওই ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষা ও অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ছাত্রটির বাবা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০৯

—প্রতীকী ছবি।

র‌্যাগিং নিয়ে যাদবপুর-কাণ্ডের মধ্যেই এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের এক কলেজে ছাত্রকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠল শাসক দলের দুই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় যেতে না-চাওয়াতেই নাকি এমন হুমকি।পাঁশকুড়ার ওই ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষা ও অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ছাত্রটির বাবা।

ঘটনায় সামনে এসেছে শিক্ষাঙ্গনে প্রাক্তনীদের দাদাগিরির বিষয়টিও। মাইশোরার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সিদ্ধিনাথ মহাবিদ্যালয়ের কলা বিভাগের চতুর্থ সিমেস্টারের ছাত্রটির অভিযোগ, আগামী ২৮ অগস্ট টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কলকাতার জনসভায় যাওয়ার জন্য তাঁর উপরে চাপ দিচ্ছিলেন সঞ্জীব গোজ এবং শুভ রায়। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁরা তাঁকে কলেজে আসতে নিষেধ করেন ও কলেজে গেলে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। শুভ ওই কলেজের প্রাক্তনী ও টিএমসিপির পাঁশকুড়া ব্লক কমিটির আহ্বায়ক। সঞ্জীব বর্তমান ছাত্র।

সেই হুমকি ফোন-আলাপের অডিয়ো (সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। অভিযোগকারী ছাত্র বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন করি না। সঞ্জীব গোজ এবং শুভ রায় অভিযোগ করেছেন যে, আমি নাকি জুনিয়রদের ওঁদের বিরুদ্ধে প্রভাবিত করেছি।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘সঞ্জীব ও শুভ আমাকে চাপ দিচ্ছিলেন, যাতে টিএমসিপির সমাবেশে আমি যাই। রাজি না হওয়ায় আমার পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমি আতঙ্কিত।’’

অধ্যক্ষা উমা ঘোষ বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কলেজের অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটিকে বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। কাল কলেজে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, কোনও পড়ুয়াকে জোর করে কোনও রাজনৈতিক সভায় নিয়ে যাওয়া যাবে না।’’ কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি অমিতাভ মাইতিরও বক্তব্য, ‘‘কলেজে এ ধরনের নোংরামি বরদাস্ত করা হবে না।’’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দুই অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে ফোন করা হলে, প্রথমে তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে অবশ্য কার্যত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। সঞ্জীব বলেন, ‘‘ওই ছাত্র আমাদের কাজে নানা ভাবে বাধা দিতেন। তাই ওঁকে এমনটা বলা হয়েছে।’’ শুভ বলেন, ‘‘মাথার ঠিক ছিল না। রাগের মাথায় কী বলেছি, জানি না।’’ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন টিএমসিপির জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panskura TMCP College

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy