বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করার অভিযোগ তুলে অতীতে একাধিক বার কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্প সার্বিক করার পথে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সরকারের নির্ধারিত মানদণ্ডে কেউ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলে, আবেদন করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, আসন্ন দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হবে।
এতদিন বার্ধক্য ভাতার আওতায় ‘জয় জোহর’ তফসিলি জনজাতির জন্য ছিল আর তফসিলি জাতিভুক্তদের জন্য ‘তফসিলি বন্ধু’। এঁদের কারও বয়স ৬০ বছর হলে তিনি ভাতা পান। এটা সার্বিক ছিল না। নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে দেওয়া হত। এ বার সবাইকে দেওয়া হবে। সাধারণ শ্রেণিভুক্তদের জন্যও বার্ধক্য ভাতা সার্বিক করা হয়েছে। এখন ২৬-৩০ লক্ষ মানুষকে এই পেনশন দেওয়া হচ্ছে। বাকিরা পাচ্ছিলেন না। সব বিধবারাও ভাতা পাবেন। সবার ক্ষেত্রে আর্থিক অঙ্ক এক হাজার টাকা।
এই সুবিধা পেতে বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হতে হবে। হতে হবে রাজ্যের বাসিন্দা। এক হাজার টাকার কম মাসিক আয়, দেখাশোনার জন্য পরিবারে কেউ না থাকলে ও অন্য সরকারি পেনশন না পেলে এই সুবিধা মিলবে। ‘মানবিক প্রকল্প’-এ ভাতা পাবেন বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা। শুরু হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্ত করাও। তাঁদের উন্নয়ন প্রকল্পে রাজ্য মন্ত্রিসভা সম্মতি দিয়েছে। পরিবার-সহ তাঁদের রেজিস্ট্রেশন হবে দুয়ারে সরকারে। এমএসএমই-র সঙ্গে তাঁতি ও শিল্পীদেরও রেজিস্ট্রেশন হবে এ বার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)