প্রতীকী ছবি।
আদালতের মধ্যেই ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক বিচারাধীন বন্দি। শুক্রবার সকালে চুঁচুড়া আদালতে ওই বন্দিকে তোলা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর বাঁ-হাতের শিরা কেটে ফেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিচারাধীন বন্দির নাম গৌতম কুন্ডু। চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত টালিখোলার বাসিন্দা ৩৩ বছরের গৌতমকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। গৌতমের আইনজীবী অর্ণব পাল বলেন, ‘‘গৌতম কুন্ডু এবং আর এক বিচারাধীন বন্দি দীপ সরকার ২০২০ সাল থেকে হুগলির সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। দু’জনেরই আজ আদালতে হাজিরার দিন ছিল।’’ শুক্রবার সকালে ওই দু’জনকে বিশেষ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অনুপম মাইতির এজলাসে তোলা হয়েছিল। তবে কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভরা এজলাসে ব্লেড দিয়ে বাঁ-হাতের শিরা কেটে ফেলেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন গৌতম। হুগলি সংশোধনাগার সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর মামলায় অগ্রগতি হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। সে জন্যই ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা নিজেই কেটে ফেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
যদিও এই ঘটনায় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক জন বিচারাধীন বন্দির হাতে কী ভাবে ব্লেড এল এবং কী ভাবেই বা তিনি ভরা আদালতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy