দার্জিলিং হিমালয়ান রেলেওয়ের (ডিআইচআর) টয় ট্রেন পরিষেবার সংরক্ষণের জন্য জন্য ইউনেস্কোর কাছে পরিকল্পনা চেয়েছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সুষ্ঠভাবে টয় ট্রেন চালানোর বিষয়েও পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল। গত এক বছরে সেই পরিকল্পনা তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা।
কার্শিয়াংয়ে চার দিনের কর্মশালা সেরে বৃহস্পতিবার সেই খসড়া পরিকল্পনা রেলকর্তাদের হাতে তুলে দিল ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। সেটি দেখার পরে লাইন, স্টেশন সংরক্ষণের মতো বেশ কয়েকটি কাজে হাত দেবে রেল কর্তৃপক্ষ। কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ওই খসড়ার উপর নতুন পরামর্শ রেলের রয়েছে কিনা বা কোথাও বদল করতে হবে কিনা এসব খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে আমাদের। তা দ্রুত সারলে ওরা চূড়ান্ত পরিকল্পনা জমা করবে।’’
গত কয়েক বছরে নানা সমস্যায় বারবার টয় ট্রেন পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে। গত বছর পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে জুলাইয়ে সোনাদা এবং গয়াবাড়ি স্টেশনদু’টি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেসময় কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল পরিষেবা। চলতি বছরে বর্ষায় ধসের কারণেও টানা দু’মাস বন্ধ ছিল পরিষেবা। তাছাড়াও গত কয়েক বছরে প্রযুক্তিগত কারণে একাধিকবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
ইউনেস্কোর তরফে ডিএইচআর-কে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছিল। তাই ওই সংস্থাকেই গত বছর বলা হয়েছিল ঐতিহ্য বজায় রেখে কী ভাবে টয় ট্রেন পরিষেবার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে। ১৯-২২ নভেম্বর কার্শিয়াংয়ে সেই খষড়া পরিকল্পনা নিয়েই আলোচনা করা হয়।